নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা মহামারি রোধে আজ থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে তিনদিনের সীমিত লকডাউন। যা চলবে আগামী বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) পর্যন্ত।
এ সময়ে পণ্যবাহী যান ও রিকশা ছাড়া সকল গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিস। বন্ধ থাকবে শপিংমল, মার্কেট, বিনোদন কেন্দ্র। খাবারের দোকান খোলা থাকলেও খাওয়া যাবে না হোটেল বা রেস্তোরাঁয় বসে।
লকডাউন ঘোষণা করে রোববার (২৭ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত যানবাহনের তীব্র যানজট দেখা গিয়েছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে।
গণপরিবহন বন্ধ করে সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা রাখায় অফিসগামীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। অফিসগুলোকে কর্মী আনা-নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হলেও বহু প্রতিষ্ঠানই সে ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
অফিসগামী রফিক উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘মগের মুল্লুকে বাস করি! অফিস খোলা রেখে এ আবার কেমন লকডাউন। এই ড্রামা করে লাভ কি ভাই? আমরা সাধারণ মানুষ আর কতো কষ্ট সহ্য করবো? অভিশপ্ত একটা দেশে জন্ম নিয়ে পাপ করে ফেলছি।’
করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় নতুন পাঁচটি শর্ত সংযুক্ত করে ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
নতুন সংযুক্ত ৫ শর্তে যা আছে-
১. সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সব শপিংমল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেকওয়ে) করতে পারবে।
৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেয়া করতে হবে।
৫. জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এবারের লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী মাঠে নামবে বলে জানানো হয়েছে।
সান নিউজ/ এমএইচআর