নিজস্ব প্রতিবেদক : নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসার আল ইসলামের তিন সদস্যকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২৭ জুন) তাদেরকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে দশ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন- সাইয়েদ তাইমিয়া ইবরাহীম ওরফে আনোয়ার, মারুফ চৌধুরী মিশু ওরফে ফারহান ও মো. ফরজুল মোরসালিন।
এর আগে শনিবার (২৬ জুন) রাতে রামপুরা থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগ।
সিটিটিসির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গোয়েন্দা সূত্রে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কতিপয় সদস্য রামপুরা থানা এলাকায় নাশকতার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছে জানতে পারি। এ তথ্যের ভিত্তিতে স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের একটি টিম অভিযান চালিয়ে আনসার আল ইসলামের শীর্ষস্থানীয় এক নেতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, সাইয়েদ তাইমিয়া ইবরাহীম ওরফে আনোয়ার ঢাকার নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেন। ২০১৫ সালে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন তিনি এবং ২০১৬ সালে একটি মডিউল বা সেলের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
গ্রেফতার ফয়জুল মোরসালিন ঢাকা আলিয়া মাদরাসা হতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গ্র্যাজুয়েশন করেন। ফ্রি ল্যান্সার হিসেবে অনলাইনে কাজ করতেন তিনি। ২০১৬ সালে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন ফয়জুল।
এছাড়া মারুফ চৌধুরী মিশু ওরফে ফারহান ঢাকার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে বিবিএ শেষ করে ‘অন্যরকম’ গ্রুপে চাকরি করতেন। ২০১৫ সালে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন তিনি। গ্রেফতার ইবরাহীম সেল গ্রুপের সদস্য ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আনসার আল ইসলাম সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করার লক্ষ্যে একই মতাদর্শে বিশ্বাসী ব্যক্তিদের মাধ্যমে বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রচারণা চালিয়ে সংগঠনের জন্য নতুন সদস্য ও অর্থ সংগ্রহ করে। এছাড়া তাদের সংগঠনের সদস্যরা জনকল্যাণমূলক কাজ বা চ্যারিটির নামে দেশ ও বিদেশ থেকে সাদকাহ ও যাকাত সংগ্রহ করার আড়ালে জঙ্গি অর্থায়ন করে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, তিন থেকে পাঁচজনের সমন্বয়ে গঠিত গোপন সেল বা মডিউলের মাধ্যমে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালায়। এই গোপন সেল বা মডিউলের সদস্যরা ‘কাট আউট’ পদ্ধতিতে রিক্রুট হয়। ফলে ভিন্ন ভিন্ন সেল বা মডিউলের সদস্যরা কেউ কাউকে চিনতে বা জানতে পারে না। গ্রেফতাররা বিভিন্ন প্রকার এনক্রিপ্টেড অ্যাপের মাধ্যমে নিজেরা যোগাযোগ করতেন।
সাননিউজ/এমএইচ