নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অর্জন তা একটি সত্যিকারের সফলতার গল্পই। এই গল্প জীবন-পরিবর্তনকারী ও রক্ষাকারী সাফল্য অর্জন করেছে।
রোববার (২৭ জুন) “সোনার বাংলার সুবর্ণজয়ন্তী" শীর্ষক বইযের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার আলোকচিত্রের বইটির মোড়ক উম্মোচন করেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বইটিতে।
অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মিশন পরিচালক ডেরিক এস. ব্রাউন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর যুগ্মসচিব কবির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
“সোনার বাংলার সুবর্ণজয়ন্তী" শীর্ষক এই বইয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতি, দুর্যোগে প্রস্তুতি ও সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি, কৃষিতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাঁচ দশকের অগ্রগতির বিশালতা তুলে ধরা হয়েছে।
এই বইয়ে আলোকচিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী স্মরণ করা হয়েছে এবং এই দেশের অনেক অর্জনের ও সাফল্যের পথ পরিক্রমা আলোকচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
মিলার বলেন, এই সুন্দর বইটি বিগত পাঁচ দশকে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের শক্তিশালী স্থায়ী অংশীদারিত্বে ইউএসএআইডি যে অবদান রেখেছে তার একটি অপূর্ব প্রতিচ্ছবি।
ডেরিক এস. ব্রাউন বলেন, বাংলাদেশ একটি সত্যিকারের সফলতার গল্প যা জীবন-পরিবর্তনকারী ও জীবন-রক্ষাকারী সাফল্য অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ইউএসএআইডির মাধ্যমে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশকে ৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা দিয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বাংলাদেশের কোভিড-১৯ মোকাবেলা প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে একাধিক সংস্থার মাধ্যমে ৮৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শুধু ২০২০ সালে ইউএসএআইডি একাই বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সুযোগের সম্প্রসারণ, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার উন্নতি, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও চর্চা বাড়ানো, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ুপরিবর্তনে সহনশীলতা বাড়াতে ২০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা করেছে বলে জানান তিনি।
সাননিউজ/এফএআর