নিজস্ব প্রতিবিদেক : করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী কাল থেকে সাড়া দেশে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীর কর্মস্থল ছেড়ে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের ঢল নেমেছে বাস, ট্রেন, ফেরি ঘাটে। এতে বিভিন্ন জেলা থেকে জরুরি প্রয়োজনে ঢাকায় আসা মানুষ গুলো বাড়ি ফিরতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তা ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক গুলতে দেখা যাচ্ছে বিশাল যানজট। অন্যদিকে সড়কে যানবাহন না থাকায় অনেকে হেঁটেই কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
রোববার (২৭ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীর কিছু কিছু সড়কে দেখা যাচ্ছে তীব্র যানজট। আবার কোনো কোনো সড়কে বাসই ছিল না। একদিকে যানজট, অন্যদিকে গণপরিবহন সঙ্কটে নাকাল হতে হয় ঘরমুখী মানুষকে।
অনেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বাসে উঠতে পারছিলেন না। সব ধরনের অফিস-আদালত খোলা থাকা সত্ত্বেও গণপরিবহনগুলোতে অর্ধেক যাত্রী নেয়ার সরকারি নির্দেশনা থাকায় কর্মমুখী মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর আসাদগেট, ধানমন্ডি-২৭, ধানমন্ডি-৩২, পান্থপথ সিগন্যাল, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, মালিবাগ, মৌচাক, তেজগাঁও, কাকরাইল, শান্তিনগর, পল্টন, গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকায় তীব্র থেকে তীব্রতর যানজটের দেখা মিলেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার থেকে গাবতলী যাওয়ার জন্য গণপরিবহনে উঠতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছিলেন মেহেদি নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী তিনি বলেন, ‘দুই সিটে একজন করে যাত্রী নিয়ে পূর্ণ অবস্থায় গেট বন্ধ রেখে বাসগুলো আসছে। তাই কোনো বাসেই উঠতে পারছি না। এদিকে রাস্তায় একধরনের যানজট সৃষ্টি হয়েছে। শত শত মানুষ বাসের জন্য অপেক্ষা করছে কিন্তু বাসে ওঠা যাচ্ছে না।’
শাহবাগ মোড় থেকে মিরপুর-১০ নম্বরের বাসে ওঠার চেষ্টা করছিলেন সুমন নামের এক ব্যক্তি তিনি বলেন, ‘কেউ বাসে উঠতে পারছেন না। কারণ সব বাসের গেট বন্ধ, মাঝপথে কোনো যাত্রী তারা তুলছে না। এ অবস্থায় যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই।’
এদিকে, রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডা পর্যন্ত লম্বা যানজট দেখা গেছে। দীর্ঘ যানজট ছিল মহাখালী থেকে বনানীর সড়কেও। আবার মহাখালী ফ্লাইওভার পার হয়ে জাহাঙ্গীর গেট থেকে বিজয় সরণি সিগন্যাল পর্যন্ত ছিল যানবাহনের দীর্ঘ সারি। মগবাজার, উত্তরা, মিরপুরসহ বেশকিছু এলাকার রাস্তায় ছিল না পর্যাপ্ত গণপরিবহন।
সিএনজি অটোরিকশা-রাইড শেয়ারিংয়ে অতিরিক্ত ভাড়া বেশি নিচ্ছে বলেও জানা যায়।
সান নিউজ/এসএ