সান নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাল্যবিয়ে সব সময়ই বড় বাধা। করোনাভাইরাসের মহামারিতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অভিভাবকরা তাদের নাবালিকা মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন। ফলে, দেশে বাল্যবিয়ের পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
বেসরকারি সংস্থা ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ বলছে, করোনায় প্রায় ১৪ হাজার কিশোরী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ৫ হাজারেরও কম বিয়ে নিবন্ধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিয়ে নিবন্ধকেরা।
সেভ দ্য চিলড্রেনের গ্লোবাল রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী আনুমানিক পাঁচ লাখ মেয়ে বাল্যবিয়েতে বাধ্য হওয়ার ঝুঁকিতে এবং এ বছর বাল্যবিয়ের শিকার ১০ লাখ মেয়ের সন্তানসম্ভবা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে যে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় দুই লাখ মেয়ে নতুন করে বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে পড়বে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর প্রকল্প পরিচালক টনি মাইকেল জানান, যেখানে দেখে কাজী সাহেব হয়তো নিজেও বুঝতে পারছেন যে এই মেয়েটির বয়স ১৮ বছরের কম। রাফ খাতায় বর-কনের নাম লিখে দেয়া হলো। কিন্তু মূল যে রেজিস্টার্ড খাতা সরকারি, সেই ডেটাবেজের খাতায় সেগুলো তোলা হয়নি।
ইউনিসেফ বলছে, বাল্যবিয়ের হার বেশি এমন ১০টি দেশের মধ্যে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি ৫১ শতাংশ। বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে শীর্ষে ঢাকা বিভাগ ও জেলার মধ্যে শীর্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
জনপ্রতিনিধিরা জানান, বাল্যবিয়ে রোধে প্রশাসনের নজরদারি ও প্রচারণা বাড়ানো হয়েছে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘শুধু প্রশাসন কেন বলবো, জনপ্রতিনিধি যারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার তাদেরও দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কিন্তু বাস্তবতায় করোনায় নিজেরাই নিজেদের নিয়ে ব্যতিব্যস্ত। ইউএনও, ডিসি সকলের কাছে আমাদের চিঠি যাচ্ছে। যে আপনারা এ বিষয়গুলোতে সচেতন হন।’
সান নিউজ/এসএম