নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা মহামারির মাঝে নীরবেই বাড়ছে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও এ কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু প্রতিরোধে নেওয়া হচ্ছে না কোনো পদক্ষেপ। এখনই নজর না দিলে পরিস্থিতি অবনতি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২৪ জুন সকাল আটটা থেকে ২৫ জুন সকাল আটটা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে ভর্তি ১৫ জন, দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী আছেন ৬৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮০ জন। চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২১৫ জন।
ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ আকার ধারন করার আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। যদিও ডেঙ্গু প্রতিরোধে নানারকম পদক্ষেপের কথা বলা হলেও শেষমেশ তার ফলাফল শূন্যতেই সীমাবদ্ধ থাকে।
মশার লার্ভা নিধনে এক বছর আগে ঝিল, লেক ও পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক হাজার হাঁস এবং তেলাপিয়া মাছ ছেড়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এখন সেই প্রকল্পের ৯০ ভাগ হাঁস গায়েব।
হাঁস গায়েবের পর সংস্থাটি ব্যাঙ প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। ডিএসসিসির আওতাধীন ঝিল, লেক, পুকুর এবং জলাশয়ে কয়েক হাজার ব্যাঙ ছাড়া হয়। এসব ব্যাঙ মশার লার্ভা নিধনে সক্ষম হবে বলে দাবি ডিএসসিসির।
যদিও এমন পরিকল্পনাকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন কীটতত্ত্ববিদ এবং পরিবেশবিদরা। বিশ্বের কোনো দেশে ব্যাঙ দিয়ে মশা নিধনের নজির নেই। ঢাকার লেক, জলাশয় ও পুকুরের পানি অনেক দূষিত। কোনো প্রজাতির ব্যাঙ এই পানিতে বাঁচতে পারবে না। তাই এই উদ্যোগ ভালো ফল দিতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তারা।
সান নিউজ/ এমএইচআর