নিজস্ব প্রতিবেদক: মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে শাটডাউনের প্রস্তাবনা নিয়ে হচ্ছে নানা আলোচনা। সবার মনে দুটি প্রশ্ন; প্রথমত, সরকার শাটডাউন দেবে কি-না? দ্বিতীয়ত, শাটডাউন দিলে সারাদেশের চিত্র কী হবে? তাছাড়া লকডাউন ও শাটডাউনের মধ্যে পার্থক্যও খুঁজছেন অনেকে। বুধবার (২৩শে জুন) জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩৮তম সভায় ১৪ দিনের শাটডাউনের সুপারিশ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৪শে জুন) কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরামর্শক কমিটির একজন সদস্য জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ সারাদেশে শাটডাউন দেওয়ার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। শাটডাউন অনেকটা ‘কারফিউ’ জারি করার মতোই হবে।
শাটডাউন কেমন হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, শাটডাউন মানে হচ্ছে সবকিছু বন্ধ থাকবে, শুধু জরুরি সেবা ছাড়া। জরুরি সেবা বলতে, ওষুধ, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম ছাড়া সবকিছু দুই সপ্তাহ বন্ধ করে মানুষ যদি এই স্যাক্রিফাইস-কষ্টটুকু মেনে নেয়, তাহলে আগামীতে ভালো হবে। সবাই বাসায় থাকবে।
জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সার্বিক দিক বিবেচনা করে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ঝুঁকি ঠেকাতে কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন শাটডাউনের সুপারিশ করছে।
এ সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে, আমাদের যতই প্রস্তুত থাকুক না কেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।
এদিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এরই মধ্যে দেশের ৭ জেলায় লকডাউন জারি করা হয়েছে। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঈদের আগে কঠোর লকডাউন আসতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন পেলেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সাননিউজ/এএসএম