নিজস্ব প্রতিবেদক : মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঢাকার আশপাশের সাত জেলায় চলছে কঠোর লকডাউন। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সড়ক, রেল ও নৌপথে। এতে প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঢাকাগামী যাত্রীদের।
যাত্রীবাহী পরিবহন ঢাকায় ঢুকতে না দেওয়ায় দুর্ভোগের মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছে। এই জন্য ঢাকায় কর্মরতদের হয়রানি হতে হচ্ছে। চাকরি বাঁচাতে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এতেও সময়মত অফিসে যেতে পারছেন না। ফলে চাকরি হারানোর ঝুঁকি বাড়ছে। অফিস শেষে বাড়ি ফেরার সময়ও ঘটছে একই ঘটনতন। পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় কষ্ট।
ঢাকায় নিয়মিত অফিস করেন নুহাশ মাহমুদ। সান নিউজকে তিনি জানান, 'মাস শেষে যে অল্প টাকা বেতন পাই, তার প্রায় সবটাই চলে যাচ্ছে যাতায়াত খরচে। কীভাবে সংসার চালাবো কিছুই বুঝতেছিনা। সন্তানদের স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার পরও টিউশন ফি দেওয়ার চাপ দিচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সামনে ঈদ, এই মুহূর্তে এই লকডাউন নাটক করে লাভ কী? আমরা সাধারণ মানুষ এই লকডাউন নাটক থেকে মুক্তি পাবো কবে?'
সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে হঠাৎ লকডাউন আরোপ করায় জনমনে দেখা দিচ্ছে অসন্তোষ ও ক্ষোভ। লকডাউন নিয়ে অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায়।
এদিকে গণপরিবহন সংকটের কারনে গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ জনগণ। এই সুযোগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে গণপরিবহন।
আরও পড়ুন- অবর্ণনীয় জনদুর্ভোগ...
সান নিউজ/ এমএইএচআর