নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্ব পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস শংকট মোকাবিলায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে সাধারণ ছুটি। এ ছুটিতে মানুষের কষ্ট লাঘবে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে সরকার।
মানবিক সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত সারাদেশে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি মানুষকে ত্রাণ দিয়েছে সরকার। যা আগামী জুলাই পর্যন্ত দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সরকার থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চাল বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭ মেট্রিক টন। এরমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৮৮ হাজার ৫৮৩ মেট্রিক টন।
জানা গেছে, বিতরণ করা চালে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৫টি এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ৩ কোটি ৫০ লক্ষ ১৯ হাজার ৭২ জন।
তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশের ৬৪ জেলায় এ পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে নগদ ৫৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে নগদ সাহায্য হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৮ কোটি ৮৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৪৪ লাখ ৭৮ হাজার এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ২ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার জন।
এছাড়া শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে সরকার থেকে ১০ কোটি ৭১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৭ কোটি ৭১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার এবং লোকসংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ২২৮ জন।
এ বিষয়ে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিপাকে পড়া মানুষদের আগামী জুলাই পর্যন্ত এ সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে অতি দরিদ্র ১০ শতাংশ, দরিদ্র ১০ শতাংশ ও ৫ শতাংশ মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছে। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে অসহায় মানুষের পাশাপাশি কর্মহীনদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন শেখ হাসিনা। তিনি সর্বদা দেশবাসীর পাশে আছেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকার সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সাধ্যমতো চেষ্টা করছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে, পর্যায়ক্রমে সবাই সহায়তা পাবেন।
সান নিউজ/সালি