নিজস্ব প্রতিবেদক: ভুয়া পরোয়ানা, মামলায় হয়রানি বন্ধে থানা, আদালত বা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়েরের সময় অভিযোগকারীর পরিচয় সঠিকভাবে নিশ্চিত হতে পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৪ জুন রুলসহ এসব নির্দেশনা দেন। বুধবার পূর্ণাঙ্গ আদেশটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চনের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়। কাঞ্চন ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, চুরি-ডাকাতি, মানবপাচার, অ্যাসিড নিক্ষেপসহ নানা অভিযোগের ৪৯টি মামলার আসামি। ২০১৩ সালের ১৮ আগাস্টে সূত্রাপুর থানা পুলিশ কাঞ্চনকে প্রথম গ্রেফতার করলে ২০১৫ সালের ২১ মে সে জামিনে বেরিয়ে।
পাঁচটি নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে: ১. অভিযোগ/এজাহারে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, ক্ষেত্রমতে পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
২. এজাহারকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে সে ক্ষেত্রে এজাহারকারীকে শনাক্তকারী ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
৩. বিশেষ বাস্তব পরিস্থিতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নম্বর লভ্য (অ্যাভেইলেবল) না হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা এজাহারকারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য স্বীয় বিবেচনায় অন্যান্য যথাযথ পদ্ধতি গ্রহণ করবেন।
৪. আদালত কিংবা ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে অভিযোগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট না থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অভিযোগকারীকে শনাক্ত করবেন।
৫. অভিযোগকারী প্রবাসী কিংবা বিদেশি নাগরিক হলে সংশ্লিষ্ট দেশের পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করতে হবে।
আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও আইনজীবী এমাদুল হক বশির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও বিপুল বাগমার। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সিরাজুল ইসলাম ও মো. সোলায়মান।
সাননিউজ/এফএআর