সান নিউজ ডেস্ক : গার্ড অফ অনারে সরকারের নারী কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিয়ে সংসদীয় কমিটির সুপারিশকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মানের অংশ হিসেবে ‘গার্ড অফ অনার’ দেয়া হয়। এ সময় সরকারের নারী কর্মকর্তাদের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি । বুধবার (২৩ জুন) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধান সমুন্নত রাখা দায়িত্ব উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে লিঙ্গ বৈষম্য করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা আমাদের সংবিধান সংরক্ষণের জন্য শপথ নিয়েছি। কাজেই আমার এর বাইরে কথা বলার কোনো সুযোগ নেই। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ আমলে নেয়া হবে না। কারণ তাদের সুপারিশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী নারী না পুরুষ সেটা দেখার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের নির্দেশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর ওপর। জেলার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক, উপজেলার ক্ষেত্রে ইউএনও’রা উপস্থিত থেকে গার্ড অফ অনার দেবেন। যদি কোনো কারণে তিনি হেড কোয়ার্টারে না থাকেন, তাহলে তার পরবর্তী ব্যক্তি দেবেন। কাজেই নির্দেশটি কোনো নারী বা পুরুষের জন্য নয়, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘সুপারিশ আকারে আমাদের কাছে আসেনি। আসবে কিনা আমি জানি না। আসলে তখন আমরা বলব। যেদিন আলোচনা হয়েছে, তখন আমি বলেছি। আমার অভিমত ব্যক্ত করে বলেছি, সেখানে কোনো ব্যক্তি যায় না। যায় রাষ্ট্রের একজন কর্মচারী। সেটা নির্ধারণ করে দেয়া আছে, কে যাবে।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আইনের যেহেতু পরিবর্তন হয়নি, অন্য কারও গার্ড অফ অনার দেয়ার সুযোগ নাই। এখন যদি বলতে হয় যে মহিলারা দেবে না, তাহলে কোনো মহিলাকে ইউএনও করা যাবে না। কোনো মহিলাকে ডিসি করা যাবে না। যদি এটা মানতে হয়।’
১৩ জুন জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে একই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর ‘গার্ড অফ অনার’ দেয়ার আয়োজন দিনের আলোয় সম্পন্ন করার পক্ষে মত দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সাননিউজ/এমএইচ