নিজস্ব প্রতিবেদক : সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ‘মননে ধারণ, লালন ও চর্চার মাধ্যমেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহমান থাকে। বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রেখেই বর্তমান সংস্কৃতিবান্ধব সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরিচর্যা, বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।’
বুধবার (২৩ জুন) দুই দিনব্যাপী গারোদের ঐতিহ্যবাহী ‘ওয়ানগালা উৎসব ২০২১’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি নেত্রকোনার বিরিশিরিতে এ উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বর্তমানে সাতটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাধ্যমে আরও তিনটি নতুন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান (ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, নওগাঁ ও দিনাজপুর) নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। যেগুলোর জনবল কাঠামো সৃষ্টি প্রক্রিয়াধীন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গারোরা প্রকৃতি পূজারী হলেও সম্প্রতি তাদের একটি বৃহৎ অংশ খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে। যে কারণে ওয়ানগালা উৎসব আগের মত জাঁকজমক হয় না। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন জনমুখী কর্মসূচি গ্রহণের ফলে গারোসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ জীবনমানের অনেক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
এসময় তিনি একাডেমির পরিচালককে বছরব্যাপী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কর্মপরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন।
কালচারাল একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সভাপতি ও নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন ও নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং।
সাননিউজ/এমএইচ