নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার আশপাশের মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, গাজীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ এই সাত জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে লকডাউন। মঙ্গলবার (২২জুন) থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে কতোটা কার্যকর হচ্ছে এই লকডাউন? জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ বলছে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লকডাউন কার্যকর করতে চালাচ্ছে তোড়জোড়।
সেই সঙ্গে টহল অব্যাহত রেখেছেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রেটগণও। তবুও কিছু সংখ্যক মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এড়িয়ে শহরে বা সড়কে চলাচল করছে।
এদিকে জনগণকে সচেতন করতে ও বিনা প্রয়োজনে বাইরে না আসার জন্য মাইকিং করছে প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের অনুরোধের কোন তোয়াক্কা না করে অনেককে মাস্ক বিহীন সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে।
তবে জেলাগুলোতে কোনো দূর পাল্লার গণপরিবহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। জেলার লোকাল পরিবহন গুলোও বন্ধ রয়েছে। তবে শহরে বা পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে চুপিসারে মালমাল বিক্রি করতে দেখা গেছে। আবার লকডাউনের কোন প্রভাব পড়েতে দেখা যায়নি গ্রাম এলাকাগুলোতে । বন্ধ আছে ট্রেন চলাচল আর লকডাউন থাকা পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনসমূহ থামছে না এই সাতে জেলায়।
অন্যদিকে মঙ্গলবারের ন্যায় বুধবারও ঢাকা থেকে দূরপাল্লার বাস ছড়েনি। আসেওনি কোনো বাস। আর ঢাকা জেলায় লকডাউন না থাকায় অভ্যন্তরীণ রুটে যানবাহন চলাচল করছে। তবে তাতে মানা হচ্ছে না খুব একটা স্বাস্থ্যবিধি।
এদিকে আইসিসিডিআরবি-এর এক গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকার কিছু বস্তি ও সংলগ্ন এলাকায় ৭১ ভাগ মানুষের শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রামে ৫৫ ভাগ। আর আক্রান্ত হয়ে অ্যান্টিবডি হওয়া অনেক মানুষের মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করে। তাই দ্রুত সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বিকল্প নেই বলছে বিশ্লেষকরা।
সান নিউজ/ আরএস