চট্টগ্রাম ব্যূরো :
করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বুধবার (২৩ জুন) সকাল ৬টা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ একপ্রেস, মহানগর গোধূলী, তূর্ণা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, কর্ণফুলী কমিউটার, ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইলসহ বেশ কয়েকজোড়া ট্রেন চলাচল করত। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বুধবার সকাল থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকা রেল ভবন থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারী করার পর ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। নির্দেশনা মোতাবেক ট্রেন চলাচল ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। তবে মালবাহী ট্রেনগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করবে।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, বুধবার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে কোন ট্রেন না চালানোর ব্যাপারে আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। তবে আপাতত অন্যান্য রুটের ট্রেনগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করবে। সাথে সকল কন্টেইনার, জ্বালানী তেল, খাদ্যবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন যথা নিয়মে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২১ জুন) করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ঢাকা বিভাগের সাত জেলা মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ জেলার সব কার্যাবলী ও জনসাধারণের চলাচল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
সোমবার বাংলাদেশ রেলওয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গাজীপুর জেলায় লকডাউন দেয়ার কারণে ২২ জুন থেকে একতা, তিস্তা, সুন্দরবন, আন্তঃনগর যমুনা, লালমনি, দ্রুতযান, চিত্রা ও নীলসাগর এক্সপ্রেসসহ অন্যান্য সব কমিউটার ও লোকাল ট্রেন জয়দেবপুর ও টাঙ্গাইল স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে না। একই সঙ্গে যেসব জেলায় লকডাউন থাকবে সেই সব জেলার আওতাধীন কোনো স্টেশনে ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে না। এ সিদ্ধান্তের দুদিনের মাথায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সান নিউজ/ আইকে