নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামীকাল সোমবার (২১ জুন) থেকে চীনের সিনোফার্ম ও কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজারের টিকাদান শুরু হবে। আগে থেকে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদের ঢাকার তিনটি কেন্দ্র থেকে টিকা দেয়া হবে।
রোববার (২০ জুন) করোনা বিষয়ক নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা বিতরণ কমিটির সদস্য অধ্যাপক শামসুল হক।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে কোভ্যাক্স থেকে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা আমাদের হাতে এসেছে। আমরা এটি সংরক্ষণ করেছি। টিকা দেয়ার জন্য গাইড লাইন এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আমরা আশা করি আগামীকাল (২১ জুন) থেকে ফাইজারের টিকা কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।
শামসুল হক বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রথম দিনে রাজধানীর তিনটি হাসপাতালে ফাইজারের টিকা কার্যক্রম প্রথম চালু হবে। সেগুলোর প্রতিটি কেন্দ্রে ১২০ জন করে মানুষকে এই টিকা দেয়া হবে। এক্ষেত্রে যারা আগে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু তারা এখনও টিকা নিতে আসতে পারেননি, তারা প্রথম টিকা নেবেন।
তিনি আরও বলেন, সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই টিকা কার্যক্রম চলবে। এটা হলো ফাইজারের টিকায় আমাদের ফাস্ট রান। এরপরে তাদেরকে আমরা পর্যবেক্ষণ করব ৭ থেকে ১০ দিন। এরপরে ফাইজারের টিকার নিয়মিত কর্মসূচি চালু হবে। তখন আমাদের জাতীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কার্যক্রমকে আরও বর্ধিত করতে পারব। আমরা আশা করি টিকার কার্যক্রমের জন্য আরও কয়েকটি হাসপাতাল চালু হবে।
অক্সফোর্ডের টিকার দ্বিতীয় ডোজ সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই লাইন ডিরেক্টর বলেন, যারা এখনও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি বা অপেক্ষমান আছেন, তাদেরকে আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। আশা করি শিগগিরই আপনারা এই টিকা পেয়ে যাবেন। তবে এখনও অনেক কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজের টিকা কার্যক্রম চলছে, তারা সেসব কেন্দ্রে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকা নিয়ে নিতে পারবেন।
জানা গেছে, এরই মধ্যে সিনোফার্মের টিকা দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌঁছে গেছে। তাপমাত্রা জটিলতার কারণে শুধু রাজধানীতেই ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। বাংলাদেশকে মোট ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা উপহার দিয়েছে চীন। এর মধ্যে ৩০ হাজার ডোজ এ দেশে কর্মরত নিজেদের কর্মীদের জন্য দিয়েছে। এ ছাড়া ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এসেছে বৈশ্বিক টিকা বিতরণ সংস্থা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে। শিগগিরই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ৮০০ ডোজ টিকা দেশে আসবে।
সান নিউজ/এমএইচ