নিজস্ব প্রতিবেদক: টেস্ট ট্র্যাক স্পর্শ করলো বাংলাদেশের প্রথম মেট্রো ট্রেন সেট। সেটি আবার ভায়াডাক্ট বা উড়ালপথে চলার আগে। ডিপোর অভ্যন্তরের ১ হাজার ৫০ মিটার টেস্ট ট্র্যাকে পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু করলো এটি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএ) থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, ডিপোর মধ্যে টেস্ট ট্র্যাক ও ভায়াডাক্টের উপরে রেলপথ একই। মূল রুটে চলার আগে এটা অন্যতম পরীক্ষা। এই ট্র্যাকে সফলভাবে চলার পর বিভিন্ন সিগন্যালে চলবে ৭ দিন। এর পরেই সব ধাপ পেরিয়ে যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে মেট্রোরেল।
প্রজেক্ট ম্যানেজার-সিপি-৮ (উপ-সচিব) এবিএম আরিফুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আজ খুশির সংবাদ। বাংলাদেশের প্রথম মেট্রো ট্রেন সেট টেস্ট ট্র্যাকে স্পর্শ করলো। ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার চলার পরেই টেস্ট ট্র্যাকে চলাচল করলো।
মেকানিক্যাল-ইলেকট্রিক্যাল, ওয়াশিংসহ প্রতিটি কোচের ১৯ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এরপরেই কোচগুলো তোলা হবে লাইনে। এ কাজে এক থেকে দুই মাস সময় লাগে। এজন্য ইতালি থেকে একধরনের যন্ত্র আনা হয়েছে বলে জানায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
এবার একসঙ্গে দুই সেট অর্থাৎ ১২টি কোচ জাপান থেকে দেশে আনার পরিকল্পনা করছে সরকার। চলতি বছরের ১১ থেকে ১৪ জুন জাপান থেকে দেশের পথে রওয়ানা দেবে কোচগুলো। ডিএমটিসিএল আশা করছে ১৩ থেকে ১৪ আগস্ট ১২টি কোচ একসঙ্গে দেশে এসে পৌঁছাবে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেলের জেটি থেকে ক্রেন দিয়ে লিফটিং জিগের মাধ্যমে কোচ লরিতে তোলার কাজ চলছে। তিনটি কোচ দিয়াবাড়ির ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে জেটিতে অবস্থান করছে তিনটি কোচ।ৎ
জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তাব্যবস্থা-সম্বলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ৭৩৮ জন। ভাড়া পরিশোধের জন্য থাকবে স্মার্টকার্ড টিকিটিং ব্যবস্থা। মেট্রোরেলে ২৪টি ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় আপ ও ডাউন রুটে ৬০ হাজার যাত্রী আনা নেওয়া করতে সক্ষম হবে।
কারণ অধিকাংশ মানুষ বসার চেয়ে দাঁড়িয়ে ভ্রমণে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে বলে দাবি করছে ডিএমটিসিএল।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, সব মিলিয়ে ২৪ সেট ট্রেনের মোট ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোয় থাকবে লম্বালম্বি সিট। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দু’টি হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুই পাশে থাকবে চারটি করে দরজা।
সাননিউজ/এএসএম