নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি সহাবস্থানের পরিবেশকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সচিবালয়ে তার নিজ দফতরে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা হত্যা ও ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে তারাই দেশের এগিয়ে যাওয়ার পথে অন্যতম প্রধান বাঁধা। বিএনপিই এদেশে সহাবস্থানের রাজনীতির পথে অন্তরায়। দিনের পর দিন তাদের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি সহাবস্থানের পরিবেশকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে । বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের অন্তরে ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসা।’
সরকার স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করছে, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট কোন চেতনা? বিএনপির চেতনার মর্মমূলে রয়েছে স্বাধীনতার প্রতি আস্থার ঘাটতি। স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে পতাকা তুলে দিয়ে তারা আজ চেতনার কথা বলে! নির্লজ্জতারও একটি সীমা থাকে।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের চলমান অগ্রযাত্রায় প্রয়োজন দায়িত্বশীল বিরোধী দল। কিন্তু বিএনপি সেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে অব্যাহতভাবে ব্যর্থ হচ্ছে বলে মনে করেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে পকেটবন্দি করেছিল বিএনপি। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। নৈরাজ্যের মাধ্যমে কেড়ে নিয়েছিল মানুষের অধিকার। আগুন সন্ত্রাস আর দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ছিল তাদের সেরা অর্জন।’
জনগণ আওয়ামী লীগের বিচার করবে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নয়, ইতোমধ্যে অপরাজনীতির জন্য জনগণের আদালতে বিএনপির বিচার শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচন ও আন্দোলনে জনগণের প্রত্যাখ্যান তারই প্রমাণ।’
এর আগে সচিবালয়ে জার্মানির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ফারেন হোলজ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘দুই দেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশ হিসেবে জার্মানির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে যে আহ্বান জানিয়েছেন তাতে জার্মান সরকারের সমর্থন বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছে।
সান নিউজ/এমএইচ