নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে আছে চীন। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে করোনার টিকার ব্যাপক চাহিদার মধ্যেও বাংলাদেশি বন্ধুদের সহযোগিতার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে চীন সরকার ও জনগণ, যাকে বলে বিপদের বন্ধু প্রকৃত বন্ধু।
বুধবার (১৬ জুন) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে হাইব্রিড ধানের জনক চীনা অধ্যাপক ইউয়ান লংপিং স্মরণে বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশন (বিএসএ) আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সিনোফার্মের ১১ লাখ টিকা এসে পৌঁছেছে।
চীনা টিকা সরবরাহ ঠিক রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টার কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীন সবসময় একসঙ্গে কাজ করেছে; সেটা হাইব্রিড ধানের ক্ষেত্র থেকে শুরু করে করোনাভাইরাস মোকাবেলার ক্ষেত্রেও। ইতোমধ্যে, বিপুল পরিমাণ মেডিকেল সরঞ্জাম দিয়ে আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করেছি।
বিএসএ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, হাইব্রিড জাতের ধানের উদ্ভাবক বিজ্ঞানী লংপিং সারা বিশ্বের ক্ষুধামুক্তি ও দারিদ্র বিমোচনসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। ৯১ বছর বয়সে গত ২২ মে চীনের হুনান প্রদেশের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
তার অবদান স্মরণ করে রাষ্ট্রদূত জিমিং বলেন, চীন ও বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তায় ইউয়ান লংপিংয়ের অবদান অবিস্মরণীয়। ১৯৫০ সালে চীনে মাত্র ৭ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন হতে। হাইব্রিড জাত উদ্ভাবনের পর ৫ দশকের ব্যবধানে সেটি ৫ গুণ বেড়েছে।
বিএসএ সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএসএ সাধারণ সম্পাদক এফ আর মালিক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফুল হাসান, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বক্তব্য দেন।
সান নিউজ/এফএআর/এনএম