বাসস : দেশীয় অটোমোবাইল শিল্পের বিকাশে ‘অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২১’ এর খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছে।
সোমবার (১৪ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে অটোমোবাইল, অটোযন্ত্রসমূহ উৎপাদন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনক্রমে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে দেশিয় শিল্পকে বিকশিত করা। পাশাপাশি স্থানীয় অটোমোবাইল উৎপাদনের সঙ্গে আন্তর্জাতিকমানের সহযোগিতা এবং যৌথ বিনিয়োগ সুবিধা বৃদ্ধি করা যাতে সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশে সুপরিচিত ব্র্যান্ড ও মডেলের গাড়ি উৎপাদনের সুযোগ হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অটোমোবাইল শিল্প গড়ে ওঠার জন্য একটা সম্ভাবনা হিসেবে দেখা যাচ্ছে। আর আমাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে এ শিল্প ডেভেলপ করা দরকার। যে পরিমাণে মুভমেন্ট হচ্ছে, কাজকর্ম হচ্ছে তাতে আমরা শুধু আমদানিই করব সেটা নয়, সেজন্য নিজেদেরও কিছু ডেভেলপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অনেক কিছু চালু আছে, সেগুলোকে সিস্টেমেটিক ওয়েতে নিয়ে আসার জন্য চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। সেজন্য এই অটোমোবাইল শিল্প ডেভেলপ নীতিমালা এনেছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
সচিব বলেন, যাতে করে সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশে গাড়ি উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে আমাদের ঢাকাস্থ জাপানী রাষ্ট্রদূত এ রকম একটি প্রস্তাব দিয়ে গেছেন, আমার সঙ্গেও কথা বলেছেন। উনারা বলেছেন, জাপানের একটি বিখ্যাত কোম্পানি, এখানেই গাড়ি তৈরি করতে চায়।
এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, আপনারা হয়তো মিডিয়াতে দেখে থাকবেন, যে এরমধ্যে ১ লাখ বা ১ লাখ ১৪-১৫ হাজার টাকার মধ্যে তিন-চারজন যাওয়ার মতো ইলেকট্রিক কার উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। এগুলো এরমধ্যে চলে আসবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিসভায় পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পাবলিক ট্রাসপোর্টকে আরও স্ট্রং করতে হবে। তিনি বলেন, অটোমোবাইলের যন্ত্রাংশ বা পার্টস আমরা যাতে নিজেরাই বানাতে পারি সেটাও নীতিমালায় যুক্ত করা হয়েছে ।