নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে বর্তমান সরকার একটি সুসম, সময়োপযোগী, সাহসী ও বাস্তবায়নযোগ্য অনন্য বাজেট দিয়েছে।
তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো যোগ্য, সাহসী, দূরদর্শী নেতার জন্যই এ সাহসী বাজেট দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
সোমবার (১৪ ই জুন) জাতীয় সংসদে বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনায় সরকারি দলের সদস্যরা এসব কথা বলেন।
বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নেন- তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সরকারি দলের মোহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, নারায়ণ চন্দ চন্দ্র, ওয়াশিকা আয়েশা খান, উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের শিরীন আখতার, জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম।
আলোচনায় অংশ নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও শেখ হাসিনার সরকার একটি প্রযুক্তি নির্ভর উন্নত সমৃদ্ধ জাতি গড়তে প্রস্তাবিত বাজেটে প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে অবশ্যই প্রযুক্তির পথ ধরে এগিয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তিকে এগিয়ে যাবার হাতিয়ার হিসাবে গ্রহণ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত এক যুগ ধরে জাতিকে সে পথে সাফল্যের সঙ্গে পরিচালিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
পলক গত এক যুগে দেশে প্রযুক্তি খাতের অর্জনগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে সংসদে তুলে ধরেন। পাশাপাশি আইসিটি খাতে তার মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডও তিনি তুলে ধরেন।
সরকারি দলের এমপি ফারুক খান এ বাজেটকে বাস্তবায়নযোগ্য উল্লেখ করে বলেন, এ বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ। দক্ষতার সঙ্গে এ লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। এ সময় সম্পদ আহরণ যত বেশি হবে বাজেট বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন তত সহজ হবে।
তিনি মহামারি করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিশাল আকারের প্রণোদনার কথা তিনি উল্লেখ করেন।
রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। বিভিন্ন ষড়যন্ত্র আর প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে দেশ আরো এগিয়ে যাবে। তিনি সফলভাবে বাজেট বাস্তবায়নের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেন। এ পথে দুর্বলতাগুলো দূর করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সরকারি দলের অন্য সদস্যরা বলেন, এত প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে, আগামীতেও এটা বজায় থাকবে। এ ধারাবাহিকতায় ঘোষিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।
তারা বলেন, এ বাজেটে দেশীয় শিল্প বিকাশে ১০ বছরের জন্য এ খাতে কর অবকাশ দেয়া হয়েছে। ফলে শিল্প বিকাশের পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এছাড়া বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে অধিক বরাদ্দ দেয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
সাননিউজ/এএসএম