নিজস্ব প্রতিবেদক: আমাদের সম্পদের কোনও অভাব নেই বলে মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি আরও বলেন, যেটার অভাব মাঝে মাঝে হয়, সেটি হচ্ছে সততা, দায়বদ্ধতা ও জাতির প্রতি দায়িত্বশীলতার অভাব।
রোববার (১৩ জুন) ‘পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেনটেন্যান্স ড্রেজিং’প্রকল্পের একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অর্থ ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো বাস্তবায়ন করা হবে ‘পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ও মেনটেন্যান্স ড্রেজিং’ প্রকল্প। এ জন্য ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার একটি চুক্তি সই হয়েছে বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জেন ডি নুল (জেডিএন)-এর সঙ্গে।
রাজধানীর একটি হোটেলে চুক্তিতে সই করেন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর হুমায়ুন কল্লোল এবং ড্রেজিং কোম্পানির পক্ষে প্রকল্প পরিচালক জ্যাং ওয়েল। ৩৪ মাসের জন্য এই চুক্তি করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহম্মদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জ্বল হোসেন ভুইয়া। এতে সভাপতিত্ব করেন নৌপরিবহন সচিব মেজবাউদ্দিন চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডোর হুমায়ুন কল্লোল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সম্পদ আছে, সম্পদের কোনও অভাব নেই। যেটার অভাব মাঝে মাঝে হয় সেটি হচ্ছে— সততা, দায়বদ্ধতা ও জাতির প্রতি দায়িত্বশীলতার অভাব। আমাদের মাটির দিকে তাকাতে হবে।
নিজেদের নদী-নালা, খাল-বিল, পাহাড় সবই নিজেদের আয়ত্তে আনতে হবে। বহিরাগত চিন্তার দরকার নেই। প্রধানমন্ত্রী পায়রা নামটি দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর মতোই তার ক্ষিপ্রভা, সময়ের শক্তি, জ্ঞান বিজ্ঞানের শক্তি কাজে লাগিয়ে বাঙালিকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে সরকার।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘রিজার্ভের অর্থে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প প্রথম বাস্তবায়ন হবে।
এটি ঐতিহাসিক বিষয়। প্রধানমন্ত্রী যে পেশার স্বাধীনতা দিয়েছেন, তারই একটি উদাহরণ হচ্ছে আজকের চুক্তি। এই বন্দরটি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ এ সময় তিনি চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগামীতে সুনীল অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কাজ করে যাবো। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ফলে দেশের সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
সাননিউজ/এএসএম