নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বজ্রপাতে আড়াই মাসে ১৭৭ জন মারা গেছেন। চলতি জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আড়াই মাস হিসাবে এ তথ্য জানিয়েছে সেইভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম।
শুক্রবার (১০ জুন) সংবাদ সম্মেলনে বজ্রপাতে নিহত-আহতের পরিসংখ্যান তুলে ধরে সংগঠনটি। দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালের খবর এবং টেলিভিশনে প্রচারিত তথ্য পর্যালোচনা করে এ তথ্য সঙ্কলন করেছে ফোরামটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর মার্চের শেষ দিন থেকে শুরু হয় মৃত্যুর ঘটনা। জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ১৭৭ জন মারা যান। এদের মধ্যে ১২২ জন বজ্রপাতের সময় মাঠে কৃষি কাজ করছিলেন। এই সময়ে বজ্রপাতে আরও ৪৭ জন আহত হন। জুনের প্রথম সপ্তাহেই ৬৫ জন মারা গেছেন।
চলতি বছর বজ্রপাতে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১৪৯ জন পুরুষ এবং ২৮ জন নারী। বয়সীশ্রেণির হিসাবে নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৩ জন, কিশোর ৬ জন ও কিশোরী ৩ জন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কালবৈশাখী ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে মারা গেছেন ১৫ জন। ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে ঘরে বাজ পড়ে। নৌকায় মাছ ধরার সময় ৬ জন, মাঠে গরু আনতে গিয়ে ৫ জন, মাঠে খেলার সময় ৩ জন এবং বাড়ির আঙিনায় খেলার সময় ৬ জন মারা গেছে বজ্রপাতে।
এছাড়া ভ্যান বা রিকশা চালানোর সময় ২ জন এবং গাড়ির ভেতরে থাকা অবস্থায় বজ্রপাতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবছর বজ্রপাতের ‘হট স্পট’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা। এই জেলায় চলতি বছরের মে এবং জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে মারা গেছেন ১৮ জন।
এছাড়া মার্চ থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত জামালপুরে ১৪ জন, নেত্রকোণায় ১৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৬ জন এবং চট্টগ্রামে ১০ জন বজ্রপাতে মারা গেছেন।