নিজস্ব প্রতিবেদক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, কোভ্যাক্স উদ্যোগের আওতায় বাংলাদেশকে ১০ লাখ ৮০০ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (১১ জুন) তিনি গণমাধ্যমকে এ সুসংবাদ জানান। তবে কবে সেই টিকা আসবে তার দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১৬ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা চাওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিতে রাজি হয়েছে- গত সপ্তাহে এমনটা জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শুক্রবার তিনি টিকার পরিমাণ জানালেন। এখন সঙ্কট কাটাতে বাংলাদেশের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন এই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা।
বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে গণটিকাদান শুরু করে। দুই চালানের পর আর দিতে পারেনি এই টিকা উৎপাদনকারী ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। ফলে সরকার নতুন করে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয়। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজও দেয়া যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে সরকার চীন ও রুশ টিকা আনার উদ্যোগ নিলেও যারা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের জন্য ওই টিকার বিকল্প নেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ কোটি ডোজ টিকা কিনে রাখলেও তা ব্যবহার করছিল না তাদের হাতে অন্য টিকা থাকার কারণে। যুক্তরাষ্ট্র এখনও এ টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনও দেয়নি।
ভারত রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা না তোলায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে থাকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা থেকে কিছু পাঠাতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল বাংলাদেশ। কূটনৈতিক চেষ্টা ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের তৎপরতায় তাতে সাড়াও মিললো।
সান নিউজ/এমএইচ