নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন বলেছেন, ‘আমরা একটা টাইম লাইন ঠিক করেছি। আগামী ১৭ তারিখের মধ্যে একটা পলিসি ডকুমেন্টেড ড্রাফট তাদের (ইউএনএইচসিআর) পক্ষ থেকে দেয়া হবে। এর মধ্যে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠনিকভাবে আমরা আলাপ-আলোচনা করব। কিছু বিষয় আছে। প্রয়োজন হলে আর এক-দুইটা মিটিং করব। আশা করছি, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে আমরা আবার (রোহিঙ্গা) নেয়া শুরু করব।’
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সচিবের নেতৃত্বে বৈঠকে বসে ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরে গঠিত কমিটি। বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে ইউএনএইচসিআর, আইএমও, ডব্লিউএফওসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রোহিঙ্গা স্থানান্তরে নীতিমালা জমা দেবে ইউএনএইচসিআরের নেতৃত্বে অন্য সহযোগী সংস্থাগুলো।
এসময় গণমাধ্যমকে মো. মোহসীন বলেন, ‘আমরা এটা (রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনা) এই মুহূর্তে অপারেশন করছি কক্সবাজারে। যেহেতু ভাসানচর একটা ভিন্ন জায়গা। সেজন্য কিছু ইস্যু আছে। ওনাদের (ইউএনএইচসিআর) কিছু জানার আছে, আমাদেরও কিছু বিষয় তাদের পরিষ্কার করার আছে। এজন্য আমরা সেখানে কীভাবে অপারেশন করব, কোন ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা করতে পারি, এমন বিষয়ে পলিসি ডকুমেন্ট তৈরি করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচরে জায়গা তৈরি করেছে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো এই মানুষগুলোকে মর্যাদার সঙ্গে তাদের দেশে ফেরত দেয়া। এজন্য জাতিসংঘ কাজ করছে। এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া।’
সচিব বলেন, ‘ভাসানচরে সাড়ে ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাওয়া। সেই কাজ বাস্তবায়নের এই কমিটি করা হয়েছে। তার প্রথম সভা আজকে হলো।’
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেখানে ২৩৫ পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা কাজ করছে। অচিরেই ২০০ আনসার সেখানে পাঠানো হবে।
ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ বলেন, ‘সেখানে ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা আছেন। তাদের সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। কীভাবে আমরা কাজ শুরু করতে পারি, সে বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আরও রোহিঙ্গা স্থানান্তরের কথা হচ্ছে। আমরা বলেছি, তাদের মতামত নিয়ে ভাসানচরে নিতে হবে। তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সেখানে তাদের নেয়া যাবে না। বর্ষা শেষ হলে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর করা যেতে পারে।’
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জীবন-জীবিকার কথা ভেবে অর্থনৈতিক সংস্থান করা যায় কিনা, সেই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরে ইউএনএইচসিআর।
সান নিউজ/এমএইচ