নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে আরও তিনজনের দেহে করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যারিয়েন্ট ‘বিটা’ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশের ২৮ জনের দেহে বিটা পাওয়া গেল। নতুন তিনজন জনই পুরুষ। তারা ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার বাসিন্দা।
করোনাভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার (৮ জুন) বাংলাদেশে করোনার এ ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের খবর প্রকাশ হয়েছে।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনার ৫টি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এগুলো হলো- আলফা (যুক্তরাজ্য), গামা (ব্রাজিল), ডেলটা (ভারত), বিটা (দক্ষিণ আফ্রিকা), ইটা (নাইজেরিয়া)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টগুলোর নামকরণ করেছে।
জিআইএসএআইডি বলছে, দেশে এ পর্যন্ত ২৮ জনের মধ্যে বিটা, ৪৪ জনের মধ্যে ডেলটা, ৮৪ জনের মধ্যে আলফা, ১৫ জনের মধ্যে ইটা এবং একজনের মধ্যে গামা শনাক্ত হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে গত বছর বিটা ধরনটি প্রথম পাওয়া যায়। এর নাম ‘৫০১.ভি২’। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে প্রথম করোনার এই ধরনের অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। ঢাকার বনানীর ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর শরীরে এই ধরনটি পাওয়া যায়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনাভাইরাসের চরিত্র হচ্ছে এটি দ্রুত নিয়মিতভাবে রূপান্তর হয়। বিশ্বে করোনাভাইরাসের হাজারো মিউটেন্ট আছে। তবে গবেষকেরা দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া এই ধরন (ভেরিয়েন্ট) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারের গবেষকেরা বলছেন, করোনার জিনোম গবেষণায় তারা ভারতীয় ধরন ডেলটা ও দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন বিটা বেশি পাচ্ছেন। এই দুটি বর্তমানে অন্য ধরনগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। সংক্রমণের বেশি সক্ষমতার কারণে এটি ছড়াচ্ছেও বেশি।
যবিপ্রবি জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক মো. ইকবাল কবীর বলেন, দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য মূলত বিটা ভ্যারিয়েন্ট দায়ী। এটিকে করোনার ‘উদ্বেগের ধরন’ বলা হচ্ছে। করোনার টিকা নেওয়ার পরও এই ধরনটিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। বিটা মোকাবিলা করতে টিকার কী ডোজ প্রয়োজন, সেটি এখনো গবেষকেরা বের করতে পারেননি। এ নিয়ে বিশ্বজুড়েই কাজ চলছে।