নিজস্ব প্রতিবেদক : কানাডার পর এবার মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। ‘মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম’ করা ১৫ রাজনীতিকসহ ৩৬ জনের নামের তালিকা হাতে এসেছে দুদকের। যে তালিকায় নাম রয়েছে বর্তমান ও সাবেক এমপি; তাদের পরিবার, রাজনীতিক দলীয় কর্মী থেকে ব্যবসায়ীদের।
কানাডার টরন্টো থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে হেয়ারউড রোডে ১২ কোটি টাকায় শফিকুল ইসলাম শিমুলের স্ত্রীর নামে কেনা বাড়ির সূত্র খুঁজতে গিয়ে ‘বেগমপাড়ার’ সাথে পরিচিত হয় বাংলাদেশ। সে সূত্র ধরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের খোঁজে বিদেশে সেকেন্ড হোম বা বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্যে অর্থ লগ্নিকারীদের তথ্য চেয়ে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ ১০ দেশে ৫০টির বেশি চিঠি পাঠিয়েও কোনো উত্তর পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশন।
সম্প্রতি এক চিঠির প্রতি উত্তরে মালয়েশিয়ায় ৩৬ জনের সেকেন্ড হোমের তথ্য হাতে পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে ১৫ জন সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক কর্মীর পাশাপাশি ৫ জন ব্যবসায়ী, একজন সচিব ছাড়া আরও ১৫ ব্যক্তি রয়েছেন। যার বেশিরভাগই পাচারকৃত অর্থ বাণিজ্যিক ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসিং এর মাধ্যমে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র বলছে, ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি ইউনিটের অধীনে বিভিন্ন দেশের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় সেই অ্যাডমন্ড গ্রুপের। তাদের শর্ত অনুযায়ী সব তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করা যাবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে এই দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনীতিক গোয়েন্দা ইউনিট। তাই অর্থ পাচার রোধে সরকারই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে বলে মনে করছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক বলেন, অর্থ পাচারের মামলা করার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। আমাদের দেশে সমন্বয়ের যে বিষয়টা এটার অভাব রয়েছে। মূলত একজন ডেপুটি গর্ভনরের নেতৃত্বে পরিচালিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থনীতিক গোয়েন্দা ইউনিট আর দুদক এদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। অর্থ পাচারের বিষয়ে দূতাবাসের কাছেই তথ্য পাওয়া যায়। আর কেন্দ্রিয় ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিট ভাল করেই জানে কিভাবে অর্থপাচারকারীদের তথ্য পাওয়া যায়।
দুদক এখন পর্যন্ত বিদেশ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৩৯ জনের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও সম্পদ ফ্রিজ করেছে।
সান নিউজ/এম