নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ রেলওয়েতে যুক্ত হচ্ছে আরও ২০ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন। তাই বুধবার (৯ জুন) থেকে আগের ৩৭ জোড়াসহ মোট ৫৭ জোড়া অর্থাৎ ১১৪টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে।
জানা যায়,ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করলেও যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। প্রায় ৯০ শতাংশ স্টেশন উন্মুক্ত থাকায় চলন্ত কিংবা দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে বিনা টিকিটে যাত্রীরা উঠে পড়ছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধিও উপেক্ষিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানান, যাত্রী অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা এখনো কম। চাহিদা থাকায় বুধবার থেকে আরও ২০ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হবে। ট্রেনে বিনা টিকিটে ভ্রমণ আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ। অবৈধ যাত্রীদের বিরুদ্ধে রেল আরও কঠোর হচ্ছে।
যারা স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে স্টেশন ও ট্রেনে বিনা টিকিটে প্রবেশ করবে তাদের আটক করা হবে বলেও জানান রেলপথমন্ত্রী।
আন্তঃনগর ট্রেনগুলো হচ্ছে- বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, সীমান্ত এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, বাংলাবন্দর এক্সপ্রেস।
মেইল ও কমিউটার ট্রেনগুলো হচ্ছে-বিরল কমিউটার, বগুড়া এক্সপ্রেস, রাজবাড়ী এক্সপ্রেস, কলেজ ট্রেন। ৪টি রাজবাড়ী এক্সপ্রেসসহ বাকিগুলো দুটি করে চলবে।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম জানান, বুধবার থেকে পূর্বাঞ্চল রেলে ৪ জোড়া আন্তঃনগর এবং ৭ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলবে। আন্তঃনগর ট্রেনগুলো হলো- অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস।
মেইল ও কমিউটার ট্রেন হলো- ঢাকা মেইল, সুরমা মেইল, তিতাস কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, মহুয়া এক্সপ্রেস। তিতাস কমিউটার চারটিসহ প্রতিটি ট্রেন দুটি করে মোট ২২টি ট্রেন চলবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ৫ এপ্রিল সরকার লকডাউনের বিধিনিষেধ আরোপ করলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করলে ২৪ মে থেকে ট্রেন চালানোর ঘোষণা দেয় রেলওয়ে।
সান নিউজ/এনএম