নিজস্ব প্রতিবেদক : মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরসহ তিনজনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৮ জুন) ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই আদেশ দেন।
ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়া অপর দুজন হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী ওই তিনজনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
এর আগে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে গত বছর ২০ নভেম্বর রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত মেরুল বাড্ডায় মনিরের ছয়তলা বাড়িতে অভিযান চালায় র্যা ব। অভিযানে নয় লাখ টাকা মূল্যের ১০টি দেশের মুদ্রাসহ এক কোটি নয় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এসময় চার লিটার মদ, আট কেজি সোনা, একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ মনিরকেও গ্রেফতার করা হয়। পরে মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। মামলাগুলো তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতারেরর পর মনিরের এক হাজার ৫০ কোটি টাকার অপর সম্পদের তথ্য পাওয়ার কথা জানায় র্যা ব। বাড্ডা, নিকেতন, কেরানীগঞ্জ, উত্তরা ও নিকুঞ্জে দুইশর বেশি প্লট রয়েছে তার।
র্যা ব জানায়, কার্যত সোনা চোরাচালানই ছিল মনিরের ব্যবসা। সেখান থেকেই তার নাম হয় গোল্ডেন মনির। এক সময় গামছা বিক্রি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। পরে জমির ব্যবসাতেও ‘মাফিয়া’ হয়ে ওঠে এই সে।
পরে গত ১১ মে বিকেলে সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তার ও ছেলে রাফি হোসেনসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ১৯ মে মনিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায় ।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, মনিরের বোন নাসিমা আক্তার, স্বামী হাসান আলী খান, মনিরের আরেক ভগ্নিপতি নাহিদ হোসেন, মনিরের সহযোগী আবদুল হামিদ, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, রিয়াজের ভাই হায়দার আলী এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক।
সান নিউজ/এমএইচ/এম