নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাস আনপ্রেডিক্টেবল, আরও বাড়তে পারে। করোনা আমাদের নিয়ন্ত্রণেই চলে এসেছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে বৃদ্ধি পায়। মৃত্যু ৩০, ৩৫ বা ৪০ এর কোটায় আছে। সেজন্য সরকার সব বিষয়ে সেভাবে নজর রাখছে, কাজ করছে।
মঙ্গলবার (৮ জুন) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে করোনার সুরক্ষার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউ মোকাবিলা করেছি। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায়ও ভালো অবস্থানে রয়েছি। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্ত এলাকাগুলোতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। প্রাণহানি বাড়ছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি স্টাবল, এই কথা বলা যায় না। কখন কোন দিকে মোড় নেবে বলা মুশকিল। কাজেই আমাদের সবসময়ই সতর্ক থাকতে হবে।
বিএনপির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনে ওষুধ পাঠিয়েছে শুনেছি। কিন্তু করোনাভাইরাসে দেশের কোথাও চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করেছে বলে জানা নেই।
মহাখালীর অগ্নিকাণ্ডে বিএনপির সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, সাততলা বস্তিতে আওয়ামী লীগের লোকজন আগুন লাগাতে যাবে কেন? আমরা তো শান্তিতে আছি। আগুন লাগিয়ে মানুষের জন্য নতুন করে দুর্ভোগ সৃষ্টি করবো কেন? আগুন লাগানোর রাজনীতি তো করে বিএনপি। তারা সবকিছুতেই সরকারের দোষ দেখে। সামনে বজ্রপাত-ঘূর্ণিঝড়ের জন্যও হয়তো সরকারকে দায়ী করবে।’
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, ভারত তাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে করোনা টিকা দিতে পারছে না। তারপরও অন্যান্য সোর্স থেকে সংগ্রহ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টার কোনও কমতি নেই। ইনশাআল্লাহ অন্যান্য দেশ থেকে সময় মতো টিকা সংগ্রহ করতে পারবো। টিকার সংকট নিয়ে বিরোধী দল যেটা বলে আসছে, সেটা আমাদের সৃষ্টি হবে না।
কাদের বলেন, রাজশাহীতে করোনা পরিস্থিতি খারাপ রূপ নিয়েছে। ভারতে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিলো, আমাদের সেটা সৃষ্টি হয়নি। কারণ প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। করোনা আরও ভয়ংকর রূপ নিতে পারে এটা তার মাথায় আছে। যেসব জায়গায় সংক্রমণ বেশি, সেখানে আঞ্চলিক লকডাউন দিচ্ছেন। করোনা বিষয়ে সরকারের সচেতনতা এবং সতর্কতা নিয়ে যারা প্রশ্ন করেন, তারা আসলে বিরোধিতার খাতিরেই বিরোধিতা করেন।
তিনি আরও বলেন, বাজেটেও প্রণোদনা প্যাকেজ রয়েছে। এটা কি বিরোধী দল দিচ্ছে? এটাতো সরকারি কোষাগার থেকে জনগণকে দিচ্ছে সরকারই। আমরা প্রথম ঢেউ অতিক্রম করেছি, দ্বিতীয় ঢেউও অতিক্রম করতে চলেছি। জীবন ও জীবিকার সমন্বয় করে সরকার পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করছে। একজন মানুষও অনাহারে মারা যায়নি। এটা বিএনপিকে আর কতটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) দেখেও দেখে না, শুনেও শুনে না। তারা কানে লাগিয়েছে তুলো। কিছুই শুনতে পায় না। তাদের চোখে ঠুলি। ভালো কিছু তাদের চোখে পড়ে না। শুধু সমালোচনার জন্য দিনরাত বিষোদগার করছে।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ওই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সান নিউজ/এমএইচ/এসএম