নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় অর্ধশত গায়েবি মামলার আসামি রাজধানীর শান্তিবাগের বাসিন্দা একরামুল আহসান কাঞ্চন। এরমধ্যে হত্যা, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগের মামলা রয়েছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে মামলা করা বাদীদের বেশিরভাগকেই চেনেন না তিনি।
একরামের অভিযোগ, বাদীরা ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করায় তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এসব বাদীর খোঁজ পেতে সিআইডির প্রতি নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন তিনি।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী এমাদুল হক বসির।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (এসবি), অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (সিআিইড), মহাপরিচালক র্যাব, ঢাকার পুলিশ কমিশনারসহ ৪০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে মামলার ভুয়া বাদীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত একরামুল আহসান কাঞ্চনের ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।
তিনি জানান, একরামুল আহসান কাঞ্চন ঢাকার শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি ডাকাতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪৯টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৪৬৫দিন জেলে খেটেছেন। পরে বাদী খুঁজে না পাওয়ায় তিনি ৩৫টি মামলায় অব্যাহতি ও খালাস পেয়েছেন। এসব মামলার ১৪টিতে এখনো বিচারকার্য চলছে, যেগুলোতে জামিনে আছেন তিনি। সর্বশেষ তিনি ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মানবপাচারের একটি মামলায় জামিন পেয়ে বাইরে আছেন।
এ আইনজীবী বলেন, এভাবে গায়েবি মামলা দিয়ে হয়রানি করায় কাঞ্চনের মৌলিক অধিকার লংঘিত হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী এমাদুল হক বসির বলেন, রিটটি মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী একরামুল আহসান কাঞ্চন বলেন, হত্যা, ধর্ষণ, চুরি- ছিনতাই-চাঁদাবাজি ও মানবপাচারের মতো ভয়ংকর অপরাধের অভিযোগে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমন কোনো অভিযোগ নেই, আমার উপর প্রয়োগ করা হয়নি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব মামলার বাদীদের খুঁজে পাইনি। অথচ দীর্ঘ ৮ বছর আমাকে জেল খাটতে হয়েছে। মাথার ওপর এখনও অনেক মামলার খড়গ ঝুলছে।
সান নিউজ/আরআই