নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বেসরকারি চিকিৎসা সেবা আইন প্রণয়নের কাজ ২০০৮ সালে শুরু হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এখনও তা চূড়ান্ত হয়নি। সর্বশেষ ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ২০১৯’ নামে ওই আইনটি প্রণয়নের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সোমবার (৭ জুন) চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি জাতীয় সংসদকে এ কথা বলেন। এর আগে বেলা ১১টায় অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে এ প্রশ্ন উত্থাপিত হয়।
এ সময় তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে করোনা আক্রান্তদের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অক্সিজেন ব্যবহারের মূল্য এবং এক্স-রে ও সিটিস্ক্যানসহ ১০টি জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য সহনশীল করা হয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আরও দুটি পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা আইন প্রণয়ন হলে অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্যও নির্ধারণ করা সম্ভব।
নেত্রকোনা-৩ আসনের এমপি অসীম কুমার উকিলের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চীনের দেড় কোটি ডোজ সিনোভ্যাক টিকা কেনার অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি । শিগগিরই এই টিকা দেশে আনার প্রয়াস অব্যাহত আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এগুলো দেশে আসবে।
সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীন সরকার পাঁচ লাখ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছে। এই টিকা ২৫ মে থেকে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আরও ছয় লাখ ডোজ অনুদান হিসেবে শিগগিরই পাওয়া যাবে। সিরাম থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি হয়েছিল। এর মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। বাকি দুই কোটি ৩০ লাখ ডোজ সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, সিরামের সরবরাহকৃত ৭০ লাখ ও ভারত সরকারের উপহারে পাওয়া ৩২ লাখ ডোজের মধ্যে এক কোটি প্রদান হয়েছে। রাশিয়া থেকে এক কোটি ডোজ স্পুটনিক ভি কেনার কাজ প্রক্রিয়াধীন। ফাইজারের এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকাদান শিগগিরই শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এজন্য বিভিন্ন দেশ ও টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য বিভিন্ন দেশ ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা কিনতে বাংলাদেশ সরকার, বেক্সিমকো এবং সিরামের যৌথ চুক্তি হয়। প্রথমে তিন কোটি ডোজ টিকা কেনার চুক্তি হলেও টিকার দাম কমে যায়। ফলে নতুন করে আগের টাকায় তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। এছাড়া ভারত সরকার বাংলাদেশকে কয়েক দফায় ৩৩ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দিয়েছে।
সান নিউজ/এমএইচ/আরএস