নিজস্ব প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামগুলোকে উন্নত সেবার আওতায় আনতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১৫টা গ্রাম নির্ধারণ করা হবে। একটি ক্রাইটেরিয়া ঠিক করে দেয়া হয়েছে কী ধরনের গ্রাম আওতাভুক্ত হবে। যেসব গ্রামও এই কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে, সেগুলোর আলোকে আমরা সারাদেশে সেটির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখব। করোনার কারণে আমাদের কাজ কিছুটা স্লো হয়ে গেছে। আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আগাচ্ছিলাম সেটি সম্পূর্ণভাবে করতে পারিনি।
রোববার (৬ জুন) বেলা ১১টায় অনলাইনে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনায় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার গ্রাম, আমার শহর- প্রকল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়। গ্রামকে শহর করার জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সব কাজ করবে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে আমি নেতৃত্ব দেব। এখানে প্রত্যেকেই প্রকল্প নেবেন যার যার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। প্রকল্পগুলো অ্যালায়েন্স করে আমরা কাজ করব।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় হয়েছে ২২২৭ ডলার। যখন সাড়ে চার হাজার বা ছয় হাজার ডলারে এটি যাবে তখন সবাই গাড়ি কিনে ফেলবে। এসব গাড়ি যদি চলাচল করে, আর অপরিকল্পিতভাবে যদি সবকিছু হয় তাহলে রাস্তায় জ্যাম হবে। সেক্ষেত্রে সব গাড়ি চলাচলে অনেক বেশি রাস্তা লাগবে। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে করলে জায়গা কম লাগবে। আমরা যদি একটা ক্লাস্টারের মধ্যে স্কুল, হাসপাতাল, খেলার মাঠ, শপিংমল এবং বসবাসের জন্য অন্য সবকিছু একটি ক্লাস্টারের মধ্যে করতে পারি তাহলে অনেক ভালো কিছু হবে। কাজটি করা কঠিন হলেও পারমানেন্ট হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, মানুষ কিন্তু আর হ্যাসেলফুল লাইফ লিড করবে না। ঢাকা শহর যেভাবে গড়ে উঠেছে, এখানে হয়তো অনেক অপরিকল্পিত এবং আইন বহির্ভূতভাবে করা হয়েছে, অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। খাল, লেক দখল হয়েছে। ঢাকা শহরে বাড়িঘর করা হয়েছে, কিন্তু সেপটিক ট্যাঙ্ক নিচে রাখা হয়নি। এখন সরাসরি লেক-খালের মধ্যে বর্জ্য দিয়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবে থাকলে লেক-খালগুলো কি কখনও পুনরুদ্ধার করা যাবে?
সান নিউজ/এমএইচ/এসএম