নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ দূষণকারী না হয়েও বৈশ্বিক দূষণের প্রভাবের শিকার বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (৫ জুন ) ‘জলবায়ু ক্যাম্প-২০২১’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ ও সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রতি বছর আমাদের জিডিপির গড় ২ দশমিক ৫ শতাংশ তথা প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে ব্যয় হচ্ছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কম কার্বন বিকাশের পথে চলছে। আমাদের জাতীয় নির্ধারিত অবদান বা এনডিসি এবং অভিযোজন উচ্চাভিলাষকে যথেষ্ট পরিমাণে বাড়াতে প্রশমন প্রক্রিয়াতে বিদ্যমান শক্তি, শিল্প ও পরিবহন খাতগুলো ছাড়াও নতুন খাতকে আরও অন্তর্ভুক্ত করেছি।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক ইস্যু হলেও কেবল আন্তর্জাতিক বা জাতীয়ভাবেই নয়, স্থানীয় ও আঞ্চলিক স্তরেও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন।
মোমেন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের জন্য বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলো জাতীয় অর্থনীতি এবং উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের জীবন-জীবিকায় প্রভাব ফেলছে। নদীভাঙন এবং অনিয়মিত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক লোক তাদের বাড়িঘর হারাচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চরম তাপ, তীব্র বৃষ্টিপাত ও খরার মতো আবহাওয়ার চরম পরিস্থিতি বাংলাদেশে ঘন ঘন হচ্ছে এবং তীব্র আকার ধারণ করেছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিধস ও খরা মারাত্মকভাবে অনুভূত হচ্ছে। আসন্ন বছরগুলোতে এসবের পুনরাবৃত্তি এবং মারাত্মক আকার ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছে - বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৪২ মিলিয়ন জনসংখ্যার ১৯টি উপকূলীয় জেলা রয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরবর্তী সময়ে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং স্থায়ী ডুবে যাওয়ার কারণে হুমকির মধ্যে রয়েছে।
সাননিউজ/এএসএম