নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় চলমান ‘লকডাউন’র মধ্যে ভার্চ্যুয়াল শুনানিতে ৮৮৩ জন শিশু জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছে। একই সময়ে নিম্ন আদালতে ৫৬ হাজার ৩৭১ জন হাজতি জামিন পেয়ে কারা মুক্ত হয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল থেকে ৩ জুন পর্যন্ত মোট ৩৫ কার্যদিবসের এমন তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
সুপ্রিম কোর্টের তথ্য মতে, গত ১২ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে পুনরায় দ্বিতীয় দফায় সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি দরখাস্ত শুনানি হচ্ছে।
গত ১২ এপ্রিল থেকে ৩ জুন পর্যন্ত মোট ৩৫ কার্যদিবসে সারাদেশে অধস্তন আদালত এবং ট্রাইব্যুনালে এক লাখ ৯ হাজার ১২টি মামলায় জামিনের দরখাস্ত ভার্চ্যুয়াল শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়।
এ সময়ে মোট ৫৬ হাজার ৩৭১ জন হাজতি অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিন পেয়ে কারাগার মুক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ভার্চ্যুয়াল আদালতে একই সময়ে মোট জামিন পেয়েছে ৮৮৩ জন শিশু।
‘লকডাউন’র মধ্যে আদালতের কার্যক্রম চালাতে প্রধান বিচারপতির আদেশক্রমে গত ১১ এপ্রিল (রোববার) বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাদুর্ভূত মহামারি (কোভিড-১৯) এর ব্যাপক বিস্তার রোধে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
‘প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, শিশু আদালতের বিচারক এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা আদালত তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ এবং হাইকোর্ট জারিকৃত এতদ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ পূর্বক শুধু জামিন ও অতীব জরুরি ফৌজদারি দরখাস্তসমূহ নিষ্পত্তি করার উদ্দেশে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগ থেকে দেওয়া জামিন আদেশের ক্ষেত্রে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জামিন নামা দাখিল করতে হবে। এছাড়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন।
সান নিউজ/এসএম