নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে যখনই প্রয়োজন অর্থ বরাদ্দ দেয়া হবে। ‘এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।’
শুক্রবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মতো এ বছরও ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কম হয়েছে দাবি করে অনেকে যে সমালোচনা করছেন তা ঠিক নয় বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের পরিমাণ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। কেননা, স্বাস্থ্য খাতে যত টাকা প্রয়োজন হবে, তত টাকাই পাওয়া যাবে।’ একই সঙ্গে কৃষি খাতে যখনই প্রয়োজন বরাদ্দ পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদ এটি। প্রথম মেয়াদেই আমরা কৃষিকে গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের প্রথম নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা পাঁচটি বিষয় অগ্রাধিকার দিতে চেয়ছিলাম। সে অনুযায়ী কাজ শুরু করেছি এবং সেটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। চাল, গম ও ভুট্টা উৎপাদন বেড়েছে। আমাদের প্রয়োজন কৃষি কর্মকাণ্ডকে বাড়ানো।’
তিনি বলেন, ‘কৃষির বাজেট এবারও কমেনি। কৃষি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে এবং সুদের হার কমানো হয়েছে। আমরা যান্ত্রিকরণে বেশি নজর দিয়েছি। কারণ কৃষি শ্রমমুজরি বেশি। তাই ধান গম কাটা এবং ভুট্টা ভাঙ্গার কাজ এখন মেশিনে করা হচ্ছে।’
গতবছর চালের দাম বাড়ার পর সরকার প্রণোদনা দিয়ে ৩ লাখ ১২ হাজার হেক্টর হাইব্রিড (উচ্চ ফলনশীল) ধান বেশি উৎপাদন করেছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘এতে করে এবার চালের দাম কমছে। আমরা পরিকল্পনা করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিল্পকলকারখানর মূল বাধা ছিল গ্যাস, বিদ্যুৎ ও রাস্তাঘাট। এসবই করা হয়েছে উৎপাদন খাতে। এটা আমরা করেছি। বিদেশি বিনিয়োগও আসতে শুরু করেছে। এর মধ্যে করোনা এসেছে। কৃষিকে বাণিজ্যিকরণ করব। এতে করে মানুষের আয় বাড়বে। কৃষির জন্য বাজেট ভালো। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন স্বাস্থ্য ও কৃষির জন্য যখন অর্থের প্রয়োজন হবে তখনই এখাতে বরাদ্দ দেয়া হবে।
সান নিউজ/আরআই