নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দুপুরে জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে যোগ দেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
বেলা ১১টার দিকে নিজ বাসভবন থেকে সংসদ ভবনে যান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মহামারি করোনায় আক্রান্ত পুরো বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রীর প্রধান লক্ষ্য অর্থনীতির ক্ষত সারিয়ে তোলা।
৫০তম বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। রাজস্ব আয় ঠিকঠাক হলেও, ঘাটতি ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ ৩৫ শতাংশ টাকাই ধার করতে হবে সরকারকে। বাজেটের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ ঘাটতি।
করোনা মহামারি ভোগাবে আগামী অর্থবছরের পুরোটা সময়। বাজেট তৈরিতে এমন বিবেচনাই সামনে রেখেছে অর্থমন্ত্রণালয়। তাই প্রবৃদ্ধির চেয়ে মানুষের জীবন বেশি গুরুত্ব পেয়েছে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটে। প্রতিপাদ্যও তাই, জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য-আগামীর বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ৫০ বছরে, বাজেটের আকার বেড়েছে ৭৬৮ গুণ। দেশের সুর্বণজয়ন্তীতে এসে বাজেটের আকার বাড়ানোর কৃতিত্ব নিলেও বাস্তবায়ন সক্ষমতা বাড়াতে পারেনি সরকার বরং উল্টো কমেছে। প্রতিবছরই গড়ে ফেরৎ যাচ্ছে ২০ শতাংশ অর্থ। ১১ জন অর্থমন্ত্রী আর ২ উপদেষ্টার দেয়া ৫০টি বাজেটের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার সুযোগ পেয়েছিলেন সাইফুর রহমান ও আবুল মাল আব্দুল মুহিত। দু'জনেই ১২টি করে বাজেট উপস্থাপন করেছেন।
সান নিউজ/এসএম