সান নিউজ ডেস্ক:
গভীর সমুদ্রে ভাসমান প্রায় পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে দ্রুত বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে বলছে জাতিসংঘ।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশলেতের লেখা চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে এ আহ্বান জানান। জাতিসংঘের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচও শনিবার (২৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে সাগরে ভাসা পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে।
মানব পাচারকারীদের প্রলোভনের ফাঁদে পা দিয়ে ওই রোহিঙ্গারা বেশ কিছুদিন আগে মালয়েশিয়ার পথে দুটি ট্রলারে যাত্রা করে। মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ এদের দেশটিতে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় নিরুপায় হয়ে এরা সাগরে ভাসছে।
কূটনৈতিক ও কক্সবাজারের স্থানীয় সূত্রগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের বহনকারী ট্রলার দুটি গত বুধবার বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধার মুখে তা আর বাংলাদেশের জলসীমায় আসতে পারেনি। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিনের কাছে মিয়ানমারের জলসীমার সিতার পাহাড়ের কাছাকাছি অবস্থান করছে।
অবশ্য এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, দুটি নৌকায় প্রায় পাঁচ শ রোহিঙ্গা বঙ্গোপসাগর ও আন্দামানে ভাসছে। মালয়েশিয়া সরকার তাদের নেয়নি। ফলে এখন তারা বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এদের গ্রহণ করার কোনো দায়বদ্ধতা বাংলাদেশের নেই। তাঁর মতে, তাদের সাহায্যের জন্য অন্য দেশও এগিয়ে আসতে পারে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এ অঞ্চলে অনেক দেশ আছে, শুধু বাংলাদেশের কাছে এদের নেওয়ার অনুরোধ আসে কেন?
মিশেল বাশলেতে লিখেছেন, রোহিঙ্গাদের অবারিতভাবে আশ্রয় দিয়ে গর্ব করার মতো একটা অবস্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। একটি টেকসই সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান তিনি।
এইচআরডব্লিউর এশিয়াবিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার কারণে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশকে অনেক বড় বোঝা কাঁধে নিতে হয়েছে। কিন্তু শরণার্থী বোঝায় ট্রলারকে ফিরিয়ে দিয়ে তাদের সাগরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনো অজুহাত নেই।
সান নিউজ/আরএইচ