নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘দেশে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজের টিকার মজুত প্রায় শেষ’- এই মর্মে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দুই সপ্তাহ আগে ঘোষণা আসলেও এখনও করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছে।
আগের তুলনায় সংখ্যা কম হলেও প্রতিদিনই দেয়া হচ্ছে টিকা। এ যেন প্রবাদের মতো ‘শেষ হইয়াও হইলো না শেষ’।
সোমবার (৩১ মে) দেশের আট বিভাগে সর্বমোট ১২ হাজার ২১৬ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ সাত হাজার ৫৭৮ জন ও নারী চার হাজার ৬৩৮ জন। এ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের মোট টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ জনে। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৬ লাখ ৬৮ হাজার ২৮৫ জন। আর নারী ১৫ লাখ ৫ হাজার ৬৪৫ জন।
অপরদিকে গত ২৫ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজের টিকা প্রদান বন্ধ রয়েছে। তবে এর আগ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জনে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৬৫ জন। আর নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৫০ জন। টিকা গ্রহণেচ্ছু মোট নিবন্ধনকারীর সংখ্যা ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের আট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ছয় হাজার ৯১৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুই হাজার ৯০৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৪৭ জন, রংপুর বিভাগে ৯২৭ জন, খুলনা বিভাগে ১৪০ জন, বরিশাল বিভাগে ১৪৮ জন এবং সিলেট বিভাগে ৬৩০ জন টিকা নেন।
এর আগে দুই সপ্তাহ আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, টিকার মজুত ফুরিয়ে আসছে। খুব বড় জোর এক সপ্তাহ চলতে পারে।
তিনি আরও বলেছিলেন, মজুত প্রায় ফুরিয়ে যাওয়ায় প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ লাখ মানুষ আপাতত টিকা পাবেন না।
বিভিন্ন উৎস থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে ডা. নাজমুল ইসলাম বলেছিলেন, ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেয়া যাবে।
সাননিউজ/এএসএম