নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারে ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার (১ জুন) থেকে ফ্লাইট চালাতে এয়ারলাইনসগুলোকে অনুমতি দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সোমবার (৩১ মে) বেবিচক সূত্র জানায়, আপাতত দিনে কক্সবাজারে সর্বোচ্চ দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে এয়ারলাইনসগুলো।
এদিকে, বেবিচকের অনুমতি পাওয়ার পরপরই রুটটিতে ফ্লাইট ঘোষণা দিয়েছে বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস-বাংলা ও নভো এয়ার।
নভোএয়ার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজারে দিনে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। প্রথম ফ্লাইটটি যাবে সকাল সাড়ে ৯টায়, দ্বিতীয়টি বিকেল ৩টায়।
অন্যদিকে, কক্সবাজার থেকে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে একটি এবং বিকেল চারটা ৩৫ মিনিটে আরেকটি ফ্লাইট ঢাকায় আসবে বলে জানিয়েছে নভোএয়ার।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ও বেলা সাড়ে তিনটায় দুটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাবে। আর সকাল ১১টা পাঁচ মিনিট ও বেলা পাঁচটা পাঁচ মিনিটে একটি ফ্লাইট কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসবে।
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার শুরুতে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করে। সেই সময় আন্তঃজেলা পরিবহনগুলোর মতো বন্ধ করা হয় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচলও। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু থাকায় এসব বিধি-নিষেধ করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কাজে আসেনি। সে প্রেক্ষাপটে গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধি-নিষেধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রথমে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলার কথা থাকলেও পরে তা বৃদ্ধি করা হয় ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় ‘সর্বাত্মক লকডাউনের’ মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় ৬ জুন পর্যন্ত।
গত ২১ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেয় বেবিচক। সে সময় কক্সবাজার ও রাজশাহী ছাড়া বাকি পাঁচটি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট শুরু হয়। পরে রাজশাহীতে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি দেওয়া হলেও কক্সবাজারে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল।
সান নিউজ/এম