নিজস্ব প্রতিবেদক: আশুলিয়ায় মহাসড়কে চলন্ত বাসে নারীকে গণধর্ষণের মামলায় পাঁচ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। অপর এক আসামি আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
শনিবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড এবং রিমান্ডের আদেশ দেন।
স্বীকারোক্তি দেয়া আসামির নাম সুমন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মো. আরিয়ান (১৮), সাজু (২০), সোহাগ (২৫), সাইফুল ইসলাম (৪০) ও মনোয়ার (২৪)।
এর আগে এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. জিয়াউল ইসলাম ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করেন। সুমন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড এবং অপর পাঁচ আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানিকালে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আশুলিয়া থানাধীন ডিসি নার্সারি সংলগ্ন ঢাকা অটোব্রিক্সের সামনে মহাসড়কে একটি মিনিবাস থেকে এক ছেলে ও এক নারীর চিৎকার ভেসে আসে। এসময় থানার ডিউটিরত মোবাইল টিম গাড়িটি থামায়। এসময় গাড়ির ভেতরে থাকা নারী জানান, তিনি নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। সকালে চাষাড়া থেকে মানিকগঞ্জে বোনের বাসায় বেড়াতে যান তিনি।
বিকালে পুনরায় চাষাড়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে নবীনগর আসেন। পরে সেখানে তার এলাকার পূর্বপরিচিত ভাই নাজমুলের সঙ্গে দেখা হয়। এরপর একসঙ্গে তারা টঙ্গী যাওয়ার জন্য মিনিবাস ঢাকা মেট্রো জ-১১-১৬৪৮ গাড়িতে ওঠেন। আব্দুল্লাহপুর যাওয়ার কিছু আগে মিনিবাসের সব যাত্রী নেমে যায়। এসময় ওই নারী ও তার পূর্বপরিচিত ভাইকে নামতে দেয়নি ড্রাইভার। পরর্বতী সময়ে ওই গাড়ির হেলপারের সঙ্গে আরও চারজন বিভিন্ন জায়গা থেকে ওঠে। পরে গাড়ির ড্রাইভার সঙ্গে থাকা লোকটিকে আটকে রেখে হেলপারসহ মোট ছয়জন চলন্ত বাসে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।
সান নিউজ/আরআই