নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীতে প্রকাশ্যে সাহিনুদ্দিন নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরও দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালতে ইকবাল ও শরীফ দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ সময় বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
শুক্রবার রিমান্ড শেষে আসামি শরীফ, টিটু ও ইকবালকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আসামি ইকবাল ও শরীফ স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
অপর দিকে আসামি টিটুকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বিচারক ইকবাল ও শরীফসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদেরকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তাদের প্রত্যেককে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৬ মে বিকালে জমির বিরোধের মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবী থানার ডি-ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতর নিয়ে ছেলের সামনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যার ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম গত ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুরের সাবেক সাংসদ এম এ আউয়াল। ইতিমধ্যে তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় সবমিলিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে দুই আসামি মনির ও মানিক পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন।
সান নিউজ/আরআই