নিজস্ব প্রতিবেদক:
আজ ২৪ এপ্রিল। রানা প্লাজা ট্রাজেডির সাত বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৩ সালের এই দিনে সকাল নয়টার দিকে রানাপ্লাজার নয়তলা ভবন ধসে নিহত হন ১১৭৫ জন শ্রমিক। এই ধসে প্রায় আড়াই হাজার আহত শ্রমিক আজও সেই ভয়াল দিনের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছেন।
সেদিনের সেই ঘটনায় কেউ হারিয়েছেন তার মাকে, কেউ তার বাবা, কেউ তার ভাই, কেউ বোন, কেউ তার স্ত্রী, কেউ আবার স্বামীকে।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয় এটাই। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ধসে পড়ে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের ৯ তলা রানা প্লাজা ভবন। ভবনটির তৃতীয়তলা থেকে নবম তলা পর্যন্ত ছিল পাঁচটি পোশাক কারখানা। এতে প্রায় ৪ হাজার পোশাক শ্রমিক কাজ করতেন। ভবন ধসের সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংসস্তূপের ভেতরে চাপা পড়েন চার হাজার পোশাক শ্রমিক। তাদের কান্না আর আহাজারিতে শোকের মাতম নেমে আসে পুরো সাভারে।
দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য আজ সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি শ্রমিক সংগঠন, নিহত শ্রমিকদের পরিবারের সদস্য এবং আহত শ্রমিকেরা রানাপ্লাজার অস্থায়ী বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তবে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সব আয়োজনই ছিল সীমিত। আসেনি অন্যান্য বছরের মত দেশি-বিদেশি দর্শনার্থী, শ্রমিক সংগঠন ও সর্বস্তরের লোকজন।
নিহত শ্রমিকদের স্মরণে আজ সকালে রানাপ্লাজার অস্থায়ী বেদীতে সরকারের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সাভারের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ।
এছাড়া ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে রানা প্লাজার অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি ও বেসরকারিভাবে নিহত ও আহত পরিবারের মাঝে আর্থিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।
সান নিউজ/আরএইচ