সান নিউজ ডেস্ক: কখন, কোথায়, কোন ঝড় হয় তা নিয়ে বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। মোরা, ফণী, বুলবুল,আম্ফান আর এখন ইয়াস। বাহারী নাম বাহারী অর্থ। প্রতিবার মহাসাগরের বুকে ঘূর্ণিঝড় জন্ম নিলে তৈরি হয় কৌতুহল । এবারের ঝড়ের নাম কি হতে চলেছে । কিবা তার অর্থ ।
এবার বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর নামকরণ করা হয়েছে ওমানের দেওয়া নাম অনুসারে। শাব্দিক অর্থ বিশ্লেষণে দেখা যায়, ইয়াস শব্দটি উর্দু থেকে এসেছে। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় 'হতাশা'। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এখানে অপ্রতিরোধ্য অনুভূতি বোঝাতে ভয় বা উদ্বেগের অর্থে ইয়াস শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। ভয় বোঝাতে কেউ কেউ বাংলায় একে 'যশ' নামেও অভিহিত করছে বলেও জানান বিশ্লেষকরা।
ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, আরব আমিরাত, ইয়েমেন ও বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশ নিয়ে গঠিত কমিটি এই নাম ঠিক করেছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে সাধারণ মানুষের কাছে ঝড়ের তথ্য পৌঁছে দিতে তার নাম থাকাটা জরুরি। নয়লে একই সময়ে একাধিক ঝড় থাকলে চিহ্নিত করতে সমস্যা হয়। ঝড় চলে গেলোও একই সমস্যায় পড়ে আবহাওয়াবিদরা।
আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে মহাসাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তার অববাহিকায় থাকা দেশ গুলো নামকরণ করে। চলতি শতকের শুরুর দিকে এ পদ্ধতি চালু হয়। পৃথিবীতে মোট ১১ টি সংস্থা নাম ঠিক করে। যদিও কয়েক দশক আগে এসব নিয়মের কিছুই ছিলো না ।
তখন নানা ঘটনা থেকে ঝড়ের নাম ঠিক হতো । কোনো ঝড়ে কোনো জাহাজ ডুবে গেলে সেই জাহাজের নামই হতো ঝড়ের নাম ।
২০০০ সালে ঝড়ের নামকরণের জন্য নিয়ম বানানো হয়। তাতে World Meteorological Organization (WMO) ও ইউনাইটেড
ন্যাশন ইকোনোমিক এন্ড সোস্যাল কমিশন ফর এর এশিয়া সদস্য দেশ গুলো এর নাম করণ করে । এতে সংস্থায় থাকা ১৩ টি দেশ ১৩ টি করে নাম দেয় । সব মিলিয়ে নামের ভান্ডার হেয় ১৬৯ টি। সেই তালিকা থেকেই এসছে ইয়াস নামটি।
পরের ঝড়টির নামও ঠিকটাক। ইয়াসের পর ১৩ টি দেশের প্রথম নামের মধ্যে পর্যায়ক্রমে নিসর্গ, গতি, নিভার, বুরেভি, তাওকতে, গুলাব, শাহীন, জওয়াদ, অশনি, সিতারং, মানদউস এবং মোখা আগামী দিনে বয়ে আসতে পারে।
সান নিউজ/আরএস