সাননিউজ ডেস্ক: দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে মোট ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ৩৭৬ ডোজ। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১ জন, আর দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪০ লাখ ৫০ হাজার ৩৭৫ জন।
সোমবার (২৪ মে) স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, প্রথম ডোজ টিকা নেওয়া ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৯১২ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ আট হাজার ৯৭৯ জন, আর নারী ২২ লাখ ১০ হাজার ৯৩৩ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া ৫৮ লাখ ২০ হাজার এক জনের মধ্যে পুরুষ ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৫৭ জন, আর নারী ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৩২৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও জানায়, সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত দেশে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন।
উল্লেখ্য, দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলে। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয় গত ৮ এপ্রিল থেকে। দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দিয়ে।
সেরামের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয় বাংলাদেশ সরকারের। সেরাম থেকে প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আসার কথা থাকলেও এ পর্যন্ত টিকা এসেছে এক কোটি দুই লাখ ডোজ।
এদিকে টিকার সংকটের কারনে প্রথম ডোজ নেওয়া সবাই এখনই দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছে অধিদফতর।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন রবিবার (২৩ মে) জানিয়েছেন, ১৫ লাখের কাছাকাছি মানুষের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড টিকা পেতে দেরি হবে। টিকার মজুত এ সপ্তাহে শেষ হয়ে যাবে।
মূলত এ কারণেই দ্বিতীয় ডোজ পেতে দেরি হবে বলে জানান তিনি। তবে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী অধিদফতর।
সাননিউজ/এএসএম