আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরেক আত্মস্বীকৃত খুনি (বরখাস্ত) মোসলেহউদ্দিন মারা গেছেন। দীর্ঘদিন ভারতে পলাতক অন্যতম এই খুনির আসামির মৃত্যুর কথা জানিয়েছে দেশটির বেশ সংবাদমাধ্যম।
মূলত মোসলেহউদ্দিনের নামে যার ছবি দেখানো হয়েছে বা যেখানে হিন্দু নাম নিয়ে ছিলেন বলে খবর বেরিয়েছে, সেটা সত্য হলে সেই ব্যক্তি আর বেঁচে নেই। অন্তত যার বাড়িতে ছিলেন সেই বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীদের দাবি সেরকমই।
আবার এ তথ্যও এসেছে যে মোসলেহউদ্দিনকে দেশের কোনো এক স্থলবন্দর দিয়ে ঢাকার কাছে হস্তান্তর করেছে ভারত সরকার।
তবে এসব খবরের মাঝে আরেকটি খবর ছড়িয়ে পরে ভারতীয় মিডিয়াগুলোতে তা হলো- মারা গেছেন মোসলেহউদ্দিন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, মোসলেহউদ্দিন আত্মগোপন করে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার যশোরের একটি স্থানে। জায়গাটি ঠাকুরনগরের শিমুলপুরের মধ্যে এবং তা গাইঘাটা থানার অন্তর্গত। এলাকাটি মূলত হিন্দু অধ্যুষিত। আর এই এলাকায় মোসলেহউদ্দিন নাম পরিবর্তন করে হয়েছিলেন সমীর কুমার দত্ত। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ইউনানি চিকিৎসা। এটি আয়ুর্বেদ চিকিৎসারই একটি ধারা। সমীর কুমার দত্ত ‘দত্ত ডাক্তার’ নামে পরিচিত ছিল এলাকায়। শিমুলপুরের যথেষ্ট খ্যাতিও অর্জন করেছিলেন তিনি।
জানা যায় প্রায় ৪০ বছর আগে। সমীর কুমার দত্তের সঙ্গে দমদমে পরিচয় হয় পরেশ চন্দ্র অধিকারীর। অভুক্ত বেকারের মতো দমদম স্টেশনে পড়ে থাকতেন সমীর দত্ত। অপরদিকে ইউনানি চিকিৎসক ছিলেন পরেশ চন্দ্র অধিকারী। তার হয়েই পথে পথে পোস্টার লাগাতেন সমীর দত্ত। ধীরে আলাপ জমে ওঠে দু’জনের। তৈরি হয় মৈত্রীর সম্পর্ক।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, এই সমীর দত্ত মারা গেছেন। দত্ত ডাক্তার নামে সংবাদ প্রচার হলে চলতি মাসের ১৯ তারিখ পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে জানতে পারে ডাক্তার দত্ত মারা গেছেন ১০ জানুয়ারি। পরে পুলিশ সেই বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করে তার ডেথ সার্টিফিকেট, আধার কার্ড, ভোটার কার্ডসহ একাধিক নথি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, সত্যি যদি এই সমীর দত্তই বঙ্গবন্ধুর খুনি রিসালদার মোসলেহউদ্দিন হন তাহলে একথা বলাই যায় তিনি আর বেঁচে নেই। কারন গণমাধ্যম ও পুলিশের হাতে আসা ছবিতে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে সমীর দত্তকে হিন্দু নিয়মে সৎকারের জন্য সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে মুখে ফুলচন্দন পরিয়ে গলায় মালা পরানো হয়েছে। তাকে দাহ করার জন্য যে শ্মশানে নেওয়া হয়েছে সেটাও স্পষ্ট ছবিতে।
সান নিউজ/আরএইচ