নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্বের সকল দেশকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার বিষয়ক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং বাংলাদেশের সংকটের কথা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, করোনা সংকট থেকে মুক্তি পেতে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।
‘এনহ্যান্সিং রিজিওন্যাল কো-অপারেশন ইন সাউথ এশিয়া টু কমব্যাট কোভিড-১৯ রিলেটেড ইমপ্যাক্ট অন ইটস ইকোনমিকস’ শীর্ষক এ সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সরবরাহ ও চাহিদা দ্বিমুখী সংকটের সম্মুখীন। এ সংকট মোকাবিলায় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।
তার নেয়া পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন খাতে ১১.৬০ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্যাকেজটির মূল সুবিধা ভোগ করবে উৎপাদন ও সেবা খাত, কৃষি ও সামাজিক সুরক্ষামূলক খাতসমূহ। এই সহায়তা প্যাকেজটি আমাদের জিডিপির ৩.৩% এর সমান।
সংকট দীর্ঘ হলে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে। তবে সংকট প্রলম্বিত হলে দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ হিসেবে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে বিবেচিত হবে।
কৃষিখাতে প্রায় সাড়ে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার প্রণোদনা দেয়ার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সামাজিক সুরক্ষায় সহায়তার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৫ কোটি লোককে সরাসরি নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করতে যাচ্ছি। ৬ শত হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ইতোমধ্যে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের সরবরাহের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীর বিষয়টিও সরকারের সার্বিক পরিকল্পনায় রয়েছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
ভার্চুয়াল এ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সভাপতি বরজ ব্রেন্ডে। করোনা পরিস্থিতি ও সংকট থেকে উত্তরণের উপায় তুলে ধরেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুনম ক্ষেত্রপাল সিং এবং ডব্লিউইএফের স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য সেবার ভবিষ্যত কর্মসূচির প্রধান আর্নোড বার্নায়ের্ট।