নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোনো সরকারি কর্মকর্তা মৃত্যুবরণ করলে ২৫ থেকে ৫০ লাখ টাকা পাবেন। আর করোনায় আক্রান্ত হলে গ্রেড ভেদে পাবেন ৫-১০ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, মাঠ পর্যায়ে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ যে কেউ সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত বা মৃত্যুবরণ করলে গ্রেড ভেদে এ টাকা পাবেন। যা এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হিসেবে ধরা হবে।
ইতিমধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের যারা দায়িত্ব পালনকালে করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন, তারাও একই সুবিধা পাবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, 'করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃত্যুবরণের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ‘করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় ক্ষতিপূরণ’ সংক্রান্ত বরাদ্দকৃত খাত থেকে দেওয়া হবে। অর্থবিভাগ ক্ষতিপূরণের আবেদন প্রাপ্তির পর ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের সরকারি আদেশ জারি করবে। এ ক্ষতিপূরণ বর্তমান প্রচলিত অন্য যেকোনো প্রজ্ঞাপন/আদেশে বর্ণিত কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা বা অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে দেওয়া হবে।'
গ্রেড ভেদে ক্ষতিপূরণ :
গ্রেড ভেদে ক্ষতিপূরণ উল্লেখ করে এতে বলা হয়েছে, ১ম-৯ম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন ১০ লাখ টাকা। মারা গেলে পাবেন ৫০ লাখ টাকা। ১০-১৪তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাবেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা। মারা গেলে পাবেন সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। ১৫-৩০তম গ্রেডের কেউ আক্রান্ত হলে পাঁচ লাখ আর মারা গেলে ক্ষতিপূরণ পাবেন ২৫ লাখ টাকা। ২০১৫ এর বেতন স্কেল অনুযায়ী এ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
কারা ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় যোগ্য :
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানে সরাসরি কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এরা দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরাসরি আর্থিক সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ধাপগুলো :
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তবে ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস পজিটিভের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস পজিটিভের প্রমাণিক বা মেডিক্যাল রিপোর্টসহ স্ব-স্ব নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট ফরমে ক্ষতিপূরণের দাবিনামা পেশ করবে। আর মৃত্যুবরণ করলে নির্দিষ্ট ফরমে মৃত্যুবরণকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্ত্রী/স্বামী/ সন্তান এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে বাবা/মা ক্ষতিপূরণের দাবি সংবলিত আবেদন নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করবে।
নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের মাধ্যমে অর্থ বিভাগে প্রস্তাব পাঠাবে।