নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১০ জন মুসল্লি ও দু’জন হাফেজসহ মোট ১২ জন রমজান মাসে মসজিদে এশা ও তারাবির নামাজ আদায়ের সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ জানান, মসজিদে তারাবির নামাজ চালু থাকবে, তবে তাতে জনসাধারণ অংশ নিতে পারবেন না। দুজন হাফেজ ছাড়া মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সংশ্লিষ্ট ১২ জন অংশ নিতে পারবেন।
এর আগে শীর্ষ আলেমদের পক্ষ থেকে শর্তসাপেক্ষে দেশের মসজিদগুলো পুনরায় জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখনো মসজিদ উন্মুক্ত করে দেয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। যতদিন ঝুঁকিমুক্ত না হবে ততদিন মসজিদে বিধি-নিষেধ বহাল থাকবে।
তারাবির ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সীমিত আকারে দেশের মসজিদগুলোতে তারাবি চালু থাকবে। প্রত্যেক মুসল্লি ঘর থেকে অজু করে আসবেন। অসুস্থ বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা মসজিদে না এসে ঘরে নামাজ আদায় করবেন। তারাবিতে সর্বোচ্চ ১২ জন মুসল্লি উপস্থিত থাকতে পারবেন।
এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ১০ জন মুসুল্লি ও দুজন হাফেজসহ মোট ১২ জনের অংশগ্রহণে রমজান মাসে মসজিদসমূহে এশা ও তারাবির নামাজ আদায়ের সুযোগ থাকবে। এর সঙ্গে ইতিপূর্বে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জারিকৃত মসজিদে জুমা ও জামাত বিষয়ক নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।
এছাড়া রমজান মাসে ইফতার মাহফিলের নামে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না বলেও জানানো হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বিস্তারিত নির্দেশনাসহ শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) একটি সার্কুলার জারি করবে বলেও জানানো হয়।