সাননিউজ ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গতবারের মতো এবারও বাজেট অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হচ্ছে। আগামী ২ জুন বিকাল ৫টায় শুরু হতে যাওয়া এ অধিবেশন ১০/১২ দিন চলতে পারে। সংসদ অধিবেশন সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য সংসদ সচিবালয় ইতোমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
শুক্রবার (২১ মে) সংসদ সচিবালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে গত ১১ মে বাজেট অধিবেশন আহ্বান করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। জানা গেছে, ২ জুনের বৈঠকটি খুবই অল্প সময়ের জন্য হবে। ওই দিন শোক প্রস্তাব গ্রহণের মধ্যে দিয়ে বৈঠক শেষ হবে।
এরপর ৩ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে বাজেটের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
সংসদ সচিবালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন চালাতে এবারও সম্পূরক বাজেট এবং আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনা সংক্ষিপ্ত হতে পারে।
প্রথম দিন অধিবেশন শুরু হওয়ার পর প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মতিন খসরু এবং আসলামুল হকের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের আলোচনা হবে। পরে রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশন মুলতবি হবে।
পরদিন বিকাল তিনটায় সংসদের বৈঠক বসতে পারে। সেদিনই বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। এরপর দু’দিন বিরতির পর অধিবেশন আবারও বসতে পারে। তবে বাকি সময় অধিবেশন সকালে নাকি বিকালে বসবে সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
প্রস্তাবিত বাজেট ৩০ জুনের মধ্যে পাস করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে ৩০ জুনের আগে পাস করার রেকর্ড সাধারণত নেই। শুরু হতে যাওয়া অধিবেশনের মাঝে বিরতি দিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত চলতে পারে।
বাজেট উপস্থাপনের আগে একই দিনে জাতীয় সংসদ ভবনে বসবে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক। প্রতিবছরই বাজেট পেশ করার আগে মন্ত্রিসভার বিশেষ এই বৈঠক হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অর্থ বিল যায় রাষ্ট্রপতির কাছে।
সাধারণত বাজেট পেশের আগে রাষ্ট্রপতি সংসদেই অবস্থান করেন। আর্থিক বিষয়ক বিল সংসদে তোলার আগে রাষ্ট্রপতির সই নিতে হয়।
আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটটি আওয়ামী সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের ত্রয়োদশতম বাজেট।
গত বছর বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছিল ১০ জুন। সংক্ষিপ্ত ওই অধিবেশনে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
পরে ৩০ জুন আকার ঠিক রেখে ওই বাজেট পাস হয় সংসদে। ৯ কার্যদিবসের ওই অধিবেশন ছিল ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম বাজেট অধিবেশন।
মহামারিকালের অন্য অধিবেশনগুলোর মতো এবারও অধিবেশনে সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি সীমিত হবে। প্রবেশাধিকার থাকবে না গণমাধ্যমকর্মীদের।
শুধুমাত্র বাজেট পেশের দিন বাজেটের কাগজপত্র নিতে সংসদ এলাকায় ঢুকতে পারবেন সাংবাদিকরা। গত বছর সংসদের মিডিয়া সেন্টার থেকে বাজেটের দলিল বিতরণ করা হয়েছিল। সেখানে বর্তমানে কারানার টিকাকেন্দ্র থাকায় এবার সংসদ ভবনের সামনের টানেলের ভেতর থেকে কাগজপত্র বিতরণ করা হবে।
সাননিউজ/এএসএম