নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতিতে খেয়ে ফেলেছে স্বাস্থ্যখাত। করোনার কল্যাণেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের আসল চেহারা প্রকাশ পেয়েছে। প্রকাশ হয়েছে এ খাতটি কতটা দুর্বল। এ রোগে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগী বাঁচানোর প্রধান হাতিয়ার অক্সিজেনের ভাব। আরেকদিকে টিকার অনিশ্চয়তা। আর সাধারণ স্বাস্থ্যব্যবস্থা বলতে গেলে ভেঙে পড়েছে ৷ এক কথায় মানুষের বাচাঁ-মরা এখন দুর্নীতির জ্বালে আটকা।
প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের এই দুর্বলতার কারণ কী? সাদা চোখে মনে হবে কম বাজেটই এর কারণ৷ আর স্বাস্থ্য বিষয়ক ভাবুকদের ভাবনায় আরো অনেক কারণ। এর বিপরীতে কিন্তু সবার কাছ থেকেই একটি অভিযোগ আর তা হলো দুর্নীতি৷ কিন্তু ঘোড়ায় থাকে যদি গলদ এ দূনীতির লাগাম টেনে ধরবে কে? এরই মধ্যে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে। এখাত নিয়েও ৫০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ এখন প্রকাশ্য। যা দ্বিতীয় ডোজের শতভাগ টিকা নিয়ে অনিশ্চতার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এ দুনীতির অভিযোগ নিয়ে মুখ বন্ধ করে ঘাপটি মেরে বসে আসে স্বাস্থ্যমন্ত্রালয়।
স্বাস্থ্যখাত নিয়ে এত দুর্নীতি, এত অভিযোগ তারপরও এবার স্বাস্থ্য থাতের জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে৷ তারপরও আশা জাগছেনা৷ কারণ এই বরাদ্দ যদি দুর্নীতির পেটে চলে যায় তাহলে বাজেট বাড়িয়ে কী লাভ? প্রশ্ন স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞদের।
বিশ্লেষকরা বলছেন স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন বরাদ্দের শতকরা ৮০ ভাগই দুর্নীতির পেটে চলে যায়৷ একই কথা বলছেন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সুশীল সমাজের নাগরিকরা।
জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, দেশের ১৪ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ করোনা টিকা নিয়ে উদ্বেগ কমছে না। ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেয়া আবশ্যক কিন্তু এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ আশ্বস্ত করতে পারছে না। করোনা টিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা দুর্ভাগ্যজনক।
মঙ্গলবার (১৮ মে) গণমাধ্যমে তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, সংশ্লিষ্টদের অদূরদর্শিতায় টিকা কূটনীতিতে ব্যর্থ হয়েছে দেশ। কোটি কোটি টাকা মুনাফার লক্ষ্যে টিকা আমদানি হয়েছে। এ কারণেই টিকা পেতে বিকল্প উৎস রাখা হয়নি। তিন পক্ষের চুক্তি অনুযায়ী এ পর্যন্ত দেশের প্রায় ৫০ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে কিন্তু টিকার নিশ্চয়তা মেলেনি।
জিএম কাদের আরও বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্তারা প্রতিদিন করোনা তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ঢেউয়ের ভয় দেখাচ্ছেন। এজন্য জনগণকে দায়ী করে নিজেদের দায়িত্ব এড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা প্রতিরোধে সরকারের প্রস্তুতির কথা স্পষ্ট করতে পারছেন না। নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিশ্চিত করতে হবে, জনগণ উদ্বিগ্ন।
সান নিউজ/এমআর